নতুন বছর থেকে ইমাম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে অস্ট্রিয়া। ২০২১ সাল থেকেই সেটি কার্যকর হয়েছে। সে অনুযায়ী দেশটির সমস্ত ইমামদের সরকারিভাবে এখন নিবন্ধিত হবে। একই উদ্যোগ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
গত নভেম্বরে ভিয়েনায় বন্দুকধারীর হামলায় চারজন নিহত ও ২৩ জনের আহত হওয়ার পর নতুন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রিয়ার সরকার। তার একটি ছিল ইমাম নিবন্ধন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও যাতে একই উদ্যোগ গ্রহণ করে সে বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রিয়া।
শনিবার জার্মান সংবাদপত্র ডি ভেল্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির ইউরোপীয়বিষয়ক মন্ত্রী ক্যরোলিন এডস্টাডলার বলেন, রাজনৈতিক ইসলাম মোকাবেলায় ইমাম নিবন্ধন জরুরি। বেশিরভাগ ইমামরা বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ হয়ে আসেন, কাজেই নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের জানা প্রয়োজন কে কখন কোন মসজিদে কী ধরনের ধর্মীয় প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি মনে করেন ইইউ তহবিলের অর্থ যাতে কোনো ‘ইসলামিস্ট’ ও ইহুদি বিরোধী সংগঠনের হাতে না যায় সেটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এরই মধ্যে অস্ট্রিয়া মসজিদে বিদেশি অর্থায়ন নিষিদ্ধ করেছে।
ক্যরোলিন এডস্টাডলারের মতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইইউভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় আরো উন্নত হওয়া উচিত। গত কয়েকমাসে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা এবং ফ্রান্সের প্যারিস ও নিসে হামলার পর ইইউভুক্ত দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা নতুন করে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছেন। ইমাম নিবন্ধন ছাড়াও অস্ট্রিয়া বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে উগ্র ডানপন্থী দল অস্ট্রিয়ান আইডেন্টিটারিয়ান মুভমেন্ট এর মতো চরমপন্থী সংগঠন এবং ‘ইসলামিস্ট’ গোষ্ঠীগুলোর প্রতীক প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ‘ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উগ্র সংগঠনগুলোর’ অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করে পরিবর্তন আনা হয়েছে আইনেও।
সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা।