লিবারেল ওয়ার্ল্ড অর্ডারের একটা বড় প্রিন্সিপাল হচ্ছে হার্ম প্রিন্সিপাল – আমি যা খুশি তাই করতে পারি যদি তাতে আপনার ক্ষতি না হয়।
কিন্তু লিবারেল ভ্যালুজ আল্লাহর কাছ থেকে আসেনি। এসেছে মানুষের প্রবৃত্তি এবং শয়তানের থেকে।
ফলে এখানে অনেক ফাঁক-ফোঁকর পাবেন আপনি।
যেমন একটা ছেলে নিজেকে মেয়ে মনে করলে, মেয়ে সাজলে – আপনার কী ক্ষতি – প্রশ্ন তুলবে ওরা।
কিন্ত আপনি যদি প্রশ্ন করেন – একটা ছেলে প্রাপ্ত বয়ষ্ক হয়েছে ১৪ বছর বয়সে – সে ১৪ বছর বয়সে বিয়ে করলে কী ক্ষতি – এই লিবারেলরা উত্তর দেবে না।
যদি দেয়ও সে বলবে, ১৪ বছর বয়সে সে তো শিশু – সে বিয়ে কীভাবে করবে – দায়িত্ব কীভাবে নেবে।
অথচ এরা ক্লাস সেভেনের বাচ্চাদের পড়াতে বলছে – দৈহিকভাবে আমি ছেলে হলেও মেয়ে মনে করলে মেয়ে হয়ে যেতে পারি। তখন আর সে শিশু নয় – সব বোঝা লায়েক হয়ে গেছে।
ভাইয়েরা, লিবারেলরা ভয়ংকর অসহিষ্ণু, কুসংষ্কারাচ্ছন্ন।
তাদের আদর্শের বিরোধীতা করায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের Asif Mahtab Utsha এর চাকরি গেল।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে Mohammad Sorowar Hossain ভাইয়ের সব ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে। এটা চাকরি থেকে বের করার জাপানী পদ্ধতি। কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখলে আত্মসম্মান রক্ষার্থে আপনি নিজেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেবেন।
এই ট্র্যাশ জেন্ডার আইন যা এখন ড্রাফট হিসেবে আছে, পাশ হবার পরে কী হবে বুঝতে পারছেন আপনারা?
বাংলাদেশে আপনি ঘুষ খান, চুরি করেন, জাল ভোট দেন, ডাকাতি করেন, জনগণের টাকা ব্যাংক থেকে চুরি করে দেশের বাইরে পাঠান – কোনো সমস্যা নাই, যদিও বাংলাদেশের আইনে সবই অপরাধ।
খুন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেবে!
কিন্তু আপনার মেয়ে সন্তানকে যদি ১৮ বছরের নীচে বিয়ে দিয়েছেন বা ছেলেকে ২১ এর নীচে তাহলে আপনি ধরা।
আইনের ঘোড়ায় চড়ে ম্যাজিস্ট্রেট দৌড়ে আসবে। পুলিশ আসবে। আইনে আছে –
// পিতা-মাতা, অভিভাবক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি, আইনগতভাবে বা আইনবহির্ভূতভাবে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হইয়া বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করিবার ক্ষেত্রে কোন কাজ করিলে অথবা করিবার অনুমতি বা নির্দেশ প্রদান করিলে অথবা স্বীয় অবহেলার কারণে বিবাহটি বন্ধ করিতে ব্যর্থ হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।//
অর্থাৎ অ্যাডাল্ট ছেলে-মেয়েকে ঠিক বয়সে বিয়ে দিলে বাবা মাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ কারণ আমরা বাল্য বিবাহ আইন ঠেকাতে পারিনি। এই আইন করিয়েছে পশ্চিমারা। এই আইন যেন বাস্তবায়ন হয় সেটার পেছনে টাকা ঢালেও পশ্চিমারা।
ট্র্যাশ জেন্ডার আইন হওয়ার পরে আমাদের ছেলেদের কেউ একটু অদ্ভুত আচরণ করলে পুলিশ এসে বলবে তোমার ছেলে আসলে ছেলে না, মেয়ে। তুমি ওকে ছেলে হতে বাধ্য করতে পারো না। তোমাকে গ্রেফতার করা হলো।
এই ঘটনা কানাডাতে ঘটেছে। অ্যামেরিকা, জার্মানী, ইংল্যান্ডে কাছাকাছি ঘটনা ঘটছে। সামনে বাংলাদেশেও ঘটবে।
এবং এটার জন্য দায়ী হবেন আপনি – আপনাদের কাপুরুষতা এবং চুপ থাকা।