ইসরায়েল ও গাজার ক্ষমতাসীন দল হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির ডাক এলেও কোনো পক্ষই এখনও যুদ্ধ থামানোর ইঙ্গিত দেয়নি।এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৪১ জন শিশুসহ অন্তত ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে, গাজায় সর্বনিম্ন ৬ বছর বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ ইসরায়েল। ইসরায়েলেও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একজনের বয়স ৬ বছর।
এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় গাজার ১০ বছর বয়সী শিশু নাদিন আবদেল-তাইফের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
নাদিন আবদেল-তাইফ এই ছোট্ট বয়সেই প্রতিনিয়ত ধ্বংসযজ্ঞের স্বাক্ষী হচ্ছে সে।ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে রোজ তার চোখের সামনে মৃত্যু হচ্ছে স্বজন-প্রতিবেশীর।ধ্বংসস্তূপ হয়েছে তার বাড়িটিও। কিন্তু এই ধ্বংসযজ্ঞ থামানোর ক্ষমতা তার নেই। ধ্বংসস্তূপের দিকে তাকিয়ে অসহায় কান্নায় ভেঙে পড়ে সে বলছে, ‘কী করব আমি? আমার কী ক্ষমতা আছে? আমার বয়স মাত্র ১০ বছর…।
ভিডিওতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডিল ইস্ট আইকে ছোট্ট নাদিন কাঁদতে কাঁদতে বলছে, ‘কী করব আমি, বলুন? ওই ধ্বংসস্তূপ সরাবো? আমার সত্যিই ভয় করছে। আমার স্বজনদের জন্য আমি সবকিছু করতে পারি। কিন্তু কী করা উচিত এখন, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই যাতে লোককে সাহায্য করতে পারি। কিন্তু এখন কিছুই করতে পারছি না।’
নাদিন আরও বলে, ‘আমি যখনই এসব দেখি, আমার কান্না পায়। শুধু ভাবি, কেন আমাদের ওপরেই হামলা হচ্ছে? বাড়ির লোকেরা বলে, আমরা মুসলিম বলে ওরা আমাদের ঘৃণা করে। এখানে এত শিশু থাকে। কেন শিশুদের ওপর বোমাবর্ষণ করছে ওরা? এটা অনুচিত।’
আমারসংবাদ/এডি