নিঃসন্দেহে, যে ব্যক্তি আল্লাহর আইন ও বিধান অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করাকে ফরয বলে বিশ্বাস করে না, সে কাফির।
একইভাবে, যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান বাদ দিয়ে নিজের মনগড়া বা প্রচলিত আইন অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার-ফায়সালা করাকে বৈধ এবং ইনসাফভিত্তিক মনে করে, সেও কাফির। কারণ, আদল বা ন্যায়বিচার করতে তো সব জাতিই বলে।
অনেক ধর্মের অনুসারীরা তাদের জ্ঞানী ব্যক্তিদের তৈরি করা আইন ও বিধান অনুযায়ী ফায়সালা করাকেই ন্যায়বিচার বা ‘আদল’ হিসেবে গণ্য করে।
কিন্তু ইসলামে নিজেদের সম্পৃক্তকারী এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা আল্লাহর আইন ও বিধানকে বাদ দিয়ে প্রচলিত আইন দিয়ে বিচার ফায়সালা করে।
যেমন, গ্রাম্য বেদুঈনরা তাদের দলপতিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচারকার্য চালাত। আর এই দলপতি ও নেতারা তাদের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ছিল। তারা ভাবত, কুরআন-হাদীস বাদ দিয়ে আমাদের নেতা বা দলপতিদের মত অনুযায়ী বিচার করাই বেশি উপযোগী।
আর এটাই হলো কুফরি। অনেক মানুষ ইসলাম মানা সত্ত্বেও নিজেদের অনুসরণীয় নেতাদের আদেশে প্রচলিত নিয়মেই বিচার-ফায়সালা করে।
এই লোকেরা যদি মানব-রচিত আইন দিয়ে বিচার করা হারাম জানা সত্ত্বেও আল্লাহর বিধান না মেনে এর বিপরীতে অন্য বিধান দ্বারা বিচারকার্য ও দেশ পরিচালনা করাকে হালাল (বৈধ) মনে করে, তবে তারা কাফির।
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ
[মিনহাজুস্ সুন্নাহ্ আন্ নাবাবিয়্যাহ্]
