قل هو الله أحد* الله الصمد* لم يلد ولم يولد* ولم يكن له كفواً أحد*
সূরাটি চার আয়াত বিশিষ্ট। কিন্তু কী অসাধারণ তথ্য তাতে দেয়া হয়েছে। যে কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সূরাকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বলেছেন।
চিন্তা করে দেখুন, কী কী মহৎ শিক্ষা তাতে স্থান পেয়েছে:
১- রবুবিয়াতে তওহীদের আলোচনা। রব্ব হিসাবে তাঁকেই মানতে হবে।
২- নাম ও গুণের তাওহীদের আলোচনা।
৩- বান্দা যখন সূরাটি পড়বে তখন তা হবে উলুহিয়াতে তাওহীদ।
৪- আল্লাহর সত্তার পূর্ণ পরিচয়।
৫- আল্লাহর নামের বর্ণনা।
৬- আল্লাহর গুণের হাঁ-বাচক ও না-বাচক পূর্ণ বর্ণনা।
৭- আল্লাহর ব্যাপারে নাস্তিক ও কাফিরদের সন্দেহের পূর্ণ জবাব। অনুরূপ মুসলিমদের কারও মনে আল্লাহ সম্পর্কে সন্দেহ আসলে তাকেও এ সূরাটি তেলাওয়াত করতে বলা হয়েছে।
৮- ইয়াহূদী ও নাসারাদের সন্দেহের জবাব।
৯- অন্যান্য মুশরিক জাতি, যারা আল্লাহর সমকক্ষ হিসাবে কাউকে কাউকে দাঁড় করায় তাদের জবাব।
১০- মুসলিমদের অনেকেই যে শির্কে লিপ্ত তা হচ্ছে, আল্লাহ ব্যতীত অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়া, তার জবাব এখানে রয়েছে।
১১- মুসলিমদের মধ্যে যারা শির্কে লিপ্ত হয় তারা সাধারণত একক ক্ষমতাধর আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে সুপারিশকারী নির্ধারণ করে থাকে, এখানে প্রথম আয়াতের শেষে ‘আহাদ’ আর শেষ আয়াতের শেষে ‘আহাদ’ শব্দ নিয়ে এসে তারও মুলোৎপাটন ঘটানো হয়েছে।
আর এজন্যই এ সূরা হচ্ছে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ।