তাফসীর সূরা “আল ফালাক”
আয়াত নং ০২ (من شر ما خلق)
“তিনি যাহা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে”
অর্থাৎ আল্লাহর সৃষ্টির সকল অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হচ্ছে।
এটি একটি ব্যাপক অর্থবোধক বাক্য। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সকল বিপদ মুসিবত থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। শয়তান ও তার বংশধর এবং যে সমস্ত শির্ক ও কুফুরি কর্মকাণ্ডে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে হয় এই ধরনের সকল কার্যকালাপ হতে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে।
আল্লাহর সৃষ্টিকৃত প্রত্যক্ষ বস্তু ও জিনিস দ্বারা সৃষ্ট বিপদ, ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। যেমন আগুন- পানি, গাছ-পালা, জন্তু-জানোয়ার, পাহাড়-পর্বত, সাগর -নদী এবং অন্যান্য সকল সৃষ্টি আল্লাহ তা’আলা মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন-
هُوَ الَّذِیْ خَلَقَ لَكُمْ مَّا فِی الْاَرْضِ جَمِیْعًاۗ ثُمَّ اسْتَوٰۤى اِلَى السَّمَآءِ فَسَوّٰىهُنَّ سَبْعَ سَمٰوٰتٍؕ وَ هُوَ بِكُلِّ شَیْءٍ عَلِیْمٌ۠
“তিনিই পৃথিবীতে তোমাদের জন্য সমস্ত জিনিস সৃষ্টি করলেন। তারপর আকাশের দিকে লক্ষ করলেন এবং সাত আকাশ বিন্যস্ত করলেন তিনি সব জিনিসের জ্ঞান রাখেন”। আল বাকারা ২৯।
কিন্তু, কখনো কখনো মানুষ এই সৃষ্টি দ্বারাও বিপদ আপদ ও ক্ষতির সম্মুখীন হয়। উক্ত আয়াতে সমগ্র সৃষ্টির অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে। ••• আরবী ১২ মাসের অর্থ ও বিশ্লেষণ •••
*** মহান আল্লাহপাক বলেন
ان عدة الشهور عند الله اثنا عشر شهرا في كتاب الله يوم خلق السموت و الارض منها أربعة حرم
“ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই লওহে মাহফুজে ১২ টি মাস লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে । অর্থাৎ ১২ টির উপরই সীমাবদ্ধ । কম/ বেশ নয় । সেখান থেকে ৪টি মাস সম্মানিত ।”
সূরা আত তাওবা ৩৬
সম্মানিত মাসগুলো হলো জ্বিলক্বদ , জ্বিলহজ্ব, মুহররম ও রজব ।
সাধারণ মানুষ তো অনেক পরের কথা , অধিকাংশ হুজুরগণও এ মাসগুলোর তাৎপর্য / অর্থ / ব্যাখ্যা/ বিশ্লেষণ সম্পর্কে জিরো পয়েন্টে ! অথচ সাপ্তাহিক দিনগুলো / ১২ মাস ও হিজরী ‘র অভ্যূদয় ইসলামে অনেক বড় হিকমত বহন করে থাকে । এসব নিয়ে আমাদের মধ্যে চর্চা হওয়া উচিত । সন্তানদের জানানো উচিত । ইহা জ্ঞান ভান্ডারের একটি অংশ ।