তাফসীর “সূরা আল-ফাতিহা”
আয়াত নং০৫ ( اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَۙ )
“(হে আল্লাহ) তুমি আমাদের সরল-সোজা পথ দেখাও”
( اِهْدِنَا ) শব্দটি হেদায়েত শব্দ হতে এসেছে। শব্দটি অনেক গুলো অর্থে ব্যবহার হয় যথা:-পথ দেখিয়ে দেওয়া, পথে পরিচালনা করা, গন্তব্যে পৌছে দেওয়া ইত্যাদি।
“তুমি আমাদের সরল-সোজা পথ দেখাও”
আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত কর। সঠিক , সরল-সোজা পথ কোনটা? এর ব্যাখ্যা পরবর্তী আয়াতে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ( صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ) “তাদের পথ যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছ”। অর্থ্যাৎ আল্লাহ তায়ালা যাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তাদের পথটাই হচ্ছে ‘সিরাতুল মুস্তাকিম’।
আল্লাহ তাআলা কাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন? তাদের কথা পবিত্র কোরআনের সুরা আন- নিসায় উ্ল্লেখ করেছেন।
وَ مَنْ یُّطِعِ اللّٰهَ وَ الرَّسُوْلَ فَأُولَٰئِكَ مَعَ الَّذِیْنَ اَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ مِّنَ النَّبِیّٖنَ وَ الصِّدِّیْقِیْنَ وَ الشُّهَدَآءِ وَ الصّٰلِحِیْنَۚ وَ حَسُنَ أُولَٰئِكَ رَفِیْقًاؕ
“আল্লাহ যাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তারা হচ্ছেন নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলগণ। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলকে মান্য করবে সে তাদের (নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলগণদের) সাথে থাকবে। তারা কতই না চমৎকার সঙ্গী”। – আন-নিসা:৬৯
অর্থ্যাৎ, নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলগণের প্রদর্শিত পথই হলো “সিরাতুল মুস্তাকিম”। কেননা অত্র আয়াতে আল্লাহ তাদের প্রতি অনুগ্রহের কথা বলেছেন।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন-
أُولَٰئِكَ الَّذِیْنَ اَنْعَمَ اللّٰهُ عَلَیْهِمْ مِّنَ النَّبِیّٖنَ مِنْ ذُرِّیَّةِ اٰدَمَۗ وَ مِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوْحٍ٘ وَّ مِنْ ذُرِّیَّةِ اِبْرٰهِیْمَ وَ اِسْرَآءِیْلَ٘ وَ مِمَّنْ هَدَیْنَا وَ اجْتَبَیْنَاؕ اِذَا تُتْلٰى عَلَیْهِمْ اٰیٰتُ الرَّحْمٰنِ خَرُّوْا سُجَّدًا وَّ بُكِیًّا۩
“তাহারা হচ্ছে আদম সন্তানদের মধ্য থেকে এমন সব নবী, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেন, এবং যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহণ করিয়েছিলাম তাদের বংশধরদের থেকে, আর ইবরাহীমের বংশধরদের থেকে ও ইসরাঈলের বংশধরদের থেকে, আর তাদের মধ্য থেকে যাদেরকে আমি সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছিলাম এবং বাছাই করে নিয়েছিলাম। যখন করুণাময়ের আয়াত এদেরকে শুনানো হতো তখন কান্নারত অবস্থায় সিজদায় লুটিয়ে পড়তো”। – মারইয়াম:৫৮
অত্র আয়াত থেকে জানা যায় যে, নবীগণ ছাড়াও যাদেরকে “সিরাতুল মুস্তাকিম” পথে পরিচালিত করে আল্লাহ তা’আলা অনুগ্রহ করেছেন তারা হচ্ছেন যারা আল্লাহর হেদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং যারা আল্লাহর আয়াত শুনে কান্না রত অবস্থায় সেজদায় লুটিয়ে পড়ে।
‘সিরাতুল মুস্তাকিম’ এর পরিচয়:
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন-
فإن الصراط المستقيم أن يفعل العبد في كل وقت ما أمر به في ذلك الوقت من علم وعمل ولا يفعل ما نهي عنه وهذا يحتاج في كل وقت إلى أن يعلم ويعمل ما أمر به في ذلك الوقت
“সিরাতুল মুস্তাকিম হলো বান্দার পক্ষ থেকে এলেম ও আমলের ভিত্তিতে প্রত্যেকটা মুহুর্তের জন্য আল্লাহ তা’আলা যা আদেশ করেছেন তা পালন করা এবং যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন করা। এজন্যই প্রতিটা মুহূর্তে এলেম অর্জন করা আর আল্লাহ যা আদেশ করেছেন সেই গরমে আলোকতার উপর আমল করা”। -ফতোয়া ইবনে তাইমিয়া (১৪/৩৮)
কোরআনে বর্ণিত কতিপয় ‘সিরাতুল মুস্তাকিম’ বা সরল-সঠিক পথের বর্ণনা:
১. আল্লাহর পথ: আল্লাহ তায়ালার পথই হলো সিরিতুল মুস্তাকিম পথ। যে পথে তিনি মুহাম্মদ (সঃ) ও অন্যান্য নবী-রাসূলদের কে এবং মু’মিনগণকে পরিচালিত করেছেন। যারা একমাত্র তার উপর ভরসা করত। তাদের পথকে সিরাতুল মুস্তাকিম এবং তার নিজের পথ বলে অবহিত করেছেন।
وَ هٰذَا صِرَاطُ رَبِّكَ مُسْتَقِیْمًاؕ قَدْ فَصَّلْنَا الْاٰیٰتِ لِقَوْمٍ یَّذَّكَّرُوْنَ
“আর এ পথটিই তোমার রবের সোজা পথ। আর তার নিদর্শনগুলো তাদের জন্য সুস্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে যারা উপদেশ গ্রহণ করে”। -আল-আনয়াম:১২৬,
اِنِّیْ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللّٰهِ رَبِّیْ وَ رَبِّكُمْؕ مَا مِنْ دَآبَّةٍ اِلَّا هُوَ اٰخِذٌۢ بِنَاصِیَتِهَاؕ اِنَّ رَبِّیْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ
“আমি ভরসা করি আল্লাহর ওপর, যিনি আমার রব এবং তোমাদেরও রব। তিনিই প্রতিটি প্রাণীর ভাগ্য নিয়ন্তা। নিঃসন্দেহে আমার রব সরল পথে আছেন”। -হুদ:৫৬,
২. কুরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরার পথ:
আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত মহাগ্রন্থ ‘আল কোরআন’ এবং রাসূল (সঃ) এর সুন্নাহ হচ্ছে “সিরাতুল মুস্তাকিম”। কোরআন-সুন্নাহকে যে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে সে সরল সঠিক পথে পরিচালিত।
وَ كَیْفَ تَكْفُرُوْنَ وَ اَنْتُمْ تُتْلٰى عَلَیْكُمْ اٰیٰتُ اللّٰهِ وَ فِیْكُمْ رَسُوْلُهٗؕ وَ مَنْ یَّعْتَصِمْ بِاللّٰهِ فَقَدْ هُدِیَ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ۠
“কিভাবে তোমরা কুফরি করবে, যখন তোমাদের শুনানো হচ্ছে আল্লাহর আয়াত এবং তোমাদের মধ্যে রয়েছে আল্লাহর রসূল ( অর্থ্যাৎ কুরআন ও সুন্নাহ), যে ব্যক্তি আল্লাহকে (কুরআন) মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে, সে অবশ্যই সিরাতুল মুস্তাকিম পথে পরিচালিত হবে”। -আলে-ইমরান:১০১,
فَاسْتَمْسِكْ بِالَّذِیْۤ اُوْحِیَ اِلَیْكَۚ اِنَّكَ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ
“অহীর মাধ্যমে তোমার কাছে যে কিতাব পাঠানো হয়েছে সর্বাবস্থায় তুমি দৃঢ়ভাবে তা আঁকড়ে থাকো নিশ্চয়ই তুমি সোজা পথে আছো”। -আয-যুখরুফ:৪৩
৩. জ্ঞানের পথ: সিরাতুল মুস্তাকিম ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এবং অন্ধভাবে কোন মতাদর্শকে অনুসরণ করার পথ নয়, বরং কুরআন-হাদিসের জ্ঞান ও আলোর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হক্বের পথ। সেজন্য ইব্রাহিম (আঃ) তার পিতা কে বলেছিলেন:-
یٰۤاَبَتِ اِنِّیْ قَدْ جَآءَنِیْ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ یَاْتِكَ فَاتَّبِعْنِیْۤ اَهْدِكَ صِرَاطًا سَوِیًّا
“হে আমার পিতা! আমার কাছে এমন এক জ্ঞান এসেছে (আমি সেই জ্ঞানের উপর প্রতিষ্ঠিত) যা আপনার কাছে আসেনি, আপনি ( অন্ধভাবে সমাজ, রাষ্ট্রের ও মুর্তি পূজা ছেড়ে) আমার অনুসরণ করে চলুন, আমি আপনাকে সোজাপথ দেখিয়ে দেবো”। -মারইয়াম:৪৩,
اَفَمَنْ یَّمْشِیْ مُكِبًّا عَلٰى وَجْهِهٖۤ اَهْدٰۤى اَمَّنْ یَّمْشِیْ سَوِیًّا عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ
“যে ব্যক্তি মুখ নিচু করে (অন্ধভাবে কুফরির উপর) পথ চলছে সে-ই সঠিক পথপ্রাপ্ত? না যে ব্যক্তি মাথা উঁচু করে (ঈমান ও ইলমের উপর) সোজা হয়ে সরল পথে হাঁটছে সে-ই সঠিক পথপ্রাপ্ত?”- আল-মুলক:২২,
৪.আদল, ইনসাফ ও নৈতিকগুণের সমষ্টি : অন্যায় , জুলুম, অত্যাচার-অবিচার, ধোকা, প্রতারণার আশ্রয় না নেওয়। ইনসাফ ও আদলের ভিত্তিতে ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র পরিচালনাও ফায়সালার করার নাম সিরাতুল মুস্তাকিম। এজন্য আল্লাহ তায়ারা ইরশাদ করেন:-
خَصْمٰنِ بَغٰى بَعْضُنَا عَلٰى بَعْضٍ فَاحْكُمْ بَیْنَنَا بِالْحَقِّ وَ لَا تُشْطِطْ وَ اهْدِنَاۤ اِلٰى سَوَآءِ الصِّرَاطِ
“আমরা বাদি-বিবাদি দুই পক্ষ। আমাদের এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর বাড়াবাড়ি করেছে। আপনি আমাদের মধ্যে হক্বের ফায়সালা করে দিন, বে-ইনসাফী করবেন না এবং আমাদেরকে সঠিক পথ (“সিরাতুল মুস্তাকিম”) দেখিয়ে দিন। -সোয়াদ:২২,
এছাড়াও সূরা –আনয়ামের (১৫১-১৫৩) নং আয়াত সমূহের মধ্যে “সিরাতুল মুস্তাকিমের” উপর প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির অসংখ্য নৈতিক গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে আল্লাহর সাথে শরীক না করা, পিতা-মাতার সদ্ব্যবহার করা, দারিদ্রতার ভয়ে সন্তান হত্যা না করা, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অশ্লীলতা পরিহার করা, এতিমের সম্পদ লুন্ঠন না করা,ওজনে বেশ-কম না করা, নায্য ও হক কথা বলা, আমানত ও অঙ্গীকার পূর্ণ করা এই সমস্ত নৈতিক গুণাবলী বৈশিষ্ট্য গুলো অর্জন করা তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার নাম হচ্ছে সরল-সঠিক পথ।
৫. শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা আদায় কারীর পথ: আল্লাহ নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় ,তার অনুগত ও তার নিকট নত ও বিনয়ী হওয়া, তার সাথে শিরক না করা সহজ-সরল পথ বা সিরাতুল মুস্তাকিম। সে জন্য আল্লাহ তাআলা ইবরাহীম (আঃ) এর ব্যাপারে বলেছেন:-
اِنَّ اِبْرٰهِیْمَ كَانَ اُمَّةً قَانِتًا لِّلّٰهِ حَنِیْفًاؕ وَ لَمْ یَكُ مِنَ الْمُشْرِكِیْنَۙ. شَاكِرًا لِّاَنْعُمِهٖؕ اِجْتَبٰىهُ وَ هَدٰىهُ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ
“অবশ্যই ইবরাহীম নিজেই ছিল একটি পরিপূর্ণ উম্মত, আল্লাহর হুকুমের অনুগত এবং একনিষ্ঠ। সে কখনো মুশরিক ছিল না। সে ছিল আল্লাহর নিয়ামতের শোকরকারী। আল্লাহ তাঁকে বাছাই করে নেন এবং সরল সঠিক পথ দেখান। -আন্-নহল:১২০-১২১.
“সিরাতুল মুস্তাকিম” উপর অটল থাকার ফলাফল:
মুমিন বান্দাদের উপর আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে সিরাতুল মুস্তাকিমের উপর কায়েম থাকতে পারা। হাজারো মতভেদ ও মত-পর্থ্যক্যের এই পৃথিবীতে সঠিক মতাদর্শের বা হক্বের সন্ধান ও হেদায়েত একমাত্র ঈমানদারগণ লাভ করেন। তাদেরকেই একমাত্র তিনি সিরাতুল মুস্তাকিম পথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَهَدَى اللّٰهُ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لِمَا اخْتَلَفُوْا فِیْهِ مِنَ الْحَقِّ بِاِذْنِهٖؕ وَ اللّٰهُ یَهْدِیْ مَنْ یَّشَآءُ اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِیْمٍ
“অতপর আল্লাহ নিজ ইচ্ছাক্রমে মুমিনদেরকে সত্য পথের হেদায়েত দান করেন, যে ব্যাপারে লোকেরা মতবিরোধ করেছিল। আল্লাহ যাকে চান সত্য সঠিক পথ দেখিয়ে দেন”। – বাকারা ২১৩
সিরাতুল মুস্তাকিমের উপর মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত মুমিনগণ একমাত্র পরকালে আল্লাহর রহমত এবং অনুগ্রহের ভিতর থাকবে। জান্নাত দান করার মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে সম্মানিত করবেন। তারাই হবে নবী -রাসূল, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলগণের জান্নাতি সাথী। কেননা আলাহ তায়ালা বলেছেন:-
فَاَمَّا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا بِاللّٰهِ وَ اعْتَصَمُوْا بِهٖ فَسَیُدْخِلُهُمْ فِیْ رَحْمَةٍ مِّنْهُ وَ فَضْلٍۙ وَّ یَهْدِیْهِمْ اِلَیْهِ صِرَاطًا مُّسْتَقِیْمًاؕ
“অতঃপর যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং( কুরআনকে মানার মাধ্যমে) তাকে আঁকড়ে ধরেছে, তিনি অবশ্যই তাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে দয়া ও অনুগ্রহে (জান্নাতে) প্রবেশ করাবেন এবং তাঁর দিকে সরল পথ দেখাবেন”। -আন-নিসা:১৭৫,
শিক্ষা ও প্রায়োগিক ক্ষেত্র:
পৃথিবী একটি বিচিত্র আবাসস্থল। যেখানে হাজারো মতবাদ, নিয়ম, আদর্শ ও জীবনব্যবস্থ্যার অস্তিত্ব রয়েছে। এই অসংখ্য মত ও পথের মধ্যে সঠিক পথের অনুসন্ধান একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তাই দিতে পারেন। একমাত্র তিনিই আমাদেরকে সকল ভ্রান্ত মত ও পথ হতে রক্ষা করে দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তির একমাত্র পথে পরিচালিত করতে পারেন। তিনি হচ্ছেন একমাত্র সঠিক পথের সন্ধান দাতা, সঠিক নিয়ম-নীতির দিক-নির্দেশক। সেজন্য তিনি প্রতি রাকাত সালাতে এই দোয়া ( اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَۙ ) তিলাওয়াত করা ফরজ করে দিয়েছেন। তিনি তার বান্দাদেরকে সুরা ফাতেহার মাধ্যমে তার কাছে সঠিক পথের সন্ধানের প্রার্থনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তাই নামাজের ভিতরে বাহিরে সর্বাবস্থায় সব সময় আল্লাহ তাআলার নিকট হেদায়েত কামনা করা আবশ্যক। দুনিয়া আখেরাতের মুক্তির জন্য “সিরাতুল মুস্তাকিমের” উপর মৃত্যু পর্যন্ত অটুট থাকার জন্য আমাদের প্রর্থনা করা কর্তব্য।