Thursday, October 3, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমকুরআন ও হাদীসআসুন, আজ কুরআনুল কারীমের দুইটি আয়াত শিখি।

আসুন, আজ কুরআনুল কারীমের দুইটি আয়াত শিখি।

তাফসীর সূরা “আল ইখলাস”

আয়াত নাম্বার ৩:   لَمْ یَلِدْ وَ لَمْ یُوْلَدْۙ “তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনি কারোর সন্তান নন”।
অর্থাৎ: প্রত্যেক যুগেই মুশরিকরা স্রষ্টার ব্যাপারে মানুষের মতো একটি জাতি বা শ্রেণী, সদস্য সংখ্যা, উত্তরাধিকার হওয়া ও স্থলাভিষিক্ত করণ, বংশ বিস্তার, সন্তান-সন্ততি থাকার ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে এসেছে।  যেমন ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা, নেককার ও সৎ ব্যক্তিদেরকে আল্লাহর পুত্র গন্য সহ বিভিন্ন ধরনের কাল্পনিক চিন্তা-বিশ্বাস (নাউযুবিল্লাহ) পোষণ। 
যেমন ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ভ্রান্ত বিশ্বাস এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে।

وَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًاۙ سُبْحٰنَهٗؕ بَلْ لَّهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِؕ كُلٌّ لَّهٗ قٰنِتُوْنَ
“তারা বলে, আল্লাহ‌ কাউকে ছেলে হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ‌ পবিত্র এসব কথা থেকে। আসলে পৃথিবী ও আকাশের সমস্ত জিনিসই তাঁর মালিকানাধীন, সবকিছুই তাঁর নির্দেশের অনুগত”। -আল-বাক্বারাহ:১১৬
وَ قَالَتِ الْیَهُوْدُ عُزَیْرُ ابْنُ اللّٰهِ وَ قَالَتِ النَّصٰرَى الْمَسِیْحُ ابْنُ اللّٰهِؕ ذٰلِكَ قَوْلُهُمْ بِاَفْوَاهِهِمْۚ یُضَاهِــٴُـوْنَ قَوْلَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَبْلُؕ قٰتَلَهُمُ اللّٰهُۚ اَنّٰى یُؤْفَكُوْنَ
“ইহুদীরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র এবং খৃস্টানরা বলে, মসীহ আল্লাহর পুত্র। এগুলো একেবারেই আজগুবী ও উদ্ভট কথাবার্তা। তাদের পূর্বে যারা কুফরিতে লিপ্ত হয়েছিল তাদের দেখাদেখি তারা এগুলো নিজেদের মুখে উচ্চারণ করে থাকে। আল্লাহর অভিশাপ পড়ুক তাদের ওপর, তারা কোথা থেকে ধোকা খাচ্ছে”!আত-তওবা:৩০,

অথচ আল্লাহ তা’আলা এ সমস্ত কিছু হতে আনেক উর্ধে ও পবিত্র। তিনি বলেন-

وَ قُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِیْ لَمْ یَتَّخِذْ وَلَدًا وَّ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ شَرِیْكٌ فِی الْمُلْكِ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ وَلِیٌّ مِّنَ الذُّلِّ وَ كَبِّرْهُ تَكْبِیْرًا۠
“আর হে নবী আপনি বলুন, সেই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি কোন পুত্রও গ্রহণ করেননি। তাঁর বাদশাহীতে কেউ শরীকও হয়নি এবং তিনি এমন অক্ষমও নন যে, কেউ তাঁর সাহায্যকারী ও নির্ভর হবে। আর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করো, চূড়ান্ত পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্ব”।-বনী ইসরাঈল:১১১,
এ আয়াতে সর্বতোভাবে তাদের এহেন আকীদা-বিশ্বাসের প্রতিবাদ করা হয়েছে।

আয়াত নাম্বার ৪: وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ۠”এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই


كفوا এর মানে হচ্ছে নজীর, সদৃশ, সমান, সমমর্যাদা সম্পন্ন ও সমতুল্য। সারা বিশ্ব-জাহানে আল্লাহর সমকক্ষ অথবা তাঁর সমমর্যাদা সম্পন্ন কিংবা তাঁর গুণাবলী, কর্ম ও ক্ষমতার ব্যাপারে তাঁর সমান পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে এমন কেউ কোনদিন ছিল না এবং কোন দিন হতেও পারবে না।

لَیْسَ كَمِثْلِهٖ شَیْءٌۚ وَ هُوَ السَّمِیْعُ الْبَصِیْرُ
“বিশ্ব-জাহানের কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়। তিনি সব কিছু শোনেন ও দেখেন”। -আশ-শূরা:১১,

فَلَا تَضْرِبُوْا لِلّٰهِ الْاَمْثَالَؕ اِنَّ اللّٰهَ یَعْلَمُ وَ اَنْتُمْ لَا تَعْلَمُوْنَ
“কাজেই তোমরা আল্লাহর জন্য সদৃশ তৈরি করো না, আল্লাহ যা জানেন, তোমরা তা জানো না”। -আন্-নহল:৭৪,

শিক্ষা:

 আল্লাহর পরিচয়, তাঁর নাম ও বৈশিষ্ট্য সমূহ।

 আল্লাহর একত্ববাদ ও রাসূল সঃ এর নবুওয়াতের উপর দৃঢ় বিশ্বাস।

 আল্লাহর শা’নে বংশ বিস্তার ও সন্তান-সন্ততির ভ্রান্ত ধারণা পরিহার।

 একমাত্র ইলাহ আল্লাহ তা’লার এবাদত করা, তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা। কাউকে তার সাদৃশ্য তুল্‌ল বা সমতুল্য মনে না করা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

9 − 5 =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য