Friday, December 6, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমনিবন্ধআড়ংকে না বলুন

আড়ংকে না বলুন

শুধু আড়ং না, আড়ং এর মত হাজারো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আছে, যারা ইসলামকে উপজীব্য করে ব্যবসা ঠিকই করে, তবে মুসলিম হলে যেখানে চাকরী করা যাবে না।

এর জন্য আড়ং শুধু দায়ী না। দায়ী আমরা, যারা নিজেদের মুসলিম বলে দাবী করি, কিন্তু দাসখত লিখে দিয়েছি বিজাতীয় কর্পোরেশনগুলোর কাছে।

আপনি একজন কাজ করবেন না। ভাল কথা। তাতে আড়ঙ্গের কিচ্ছু আসবে যাবে না। একজন প্রকৃত মুসলিমের বিপরীতে হাজারজন নামধারী মুসলিম লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে কাজ করার জন্য।

আপনারা যারা প্রতিবাদ করতেছেন, আপনাদের এক একজনের বিপরীতে এক হাজার কাস্টমার লাইন ধরে আড়ঙ্গের জিনিস কেনার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কারন একটাই, ইসলাম ছেড়ে দেয়া যাবে, কষ্ট হবে না, কিন্তু আড়ঙ্গের পাঞ্জাবিটা ছেড়ে দেয়া যাবে না।

আপনাদের টাকা পয়সা দিয়ে ক্লোজ আপ জিনাহ করার পয়গাম পাঠায়। কি করতে পারছেন? যে জাতি আল্লাহর জন্য একটা টুথপেষ্ট বদলাতে পারে না, সে দেশে আবার দ্বীন ইসলাম কায়েম হবে!

আপনি বদলান না বলেই, ক্লোজ-আপ আপনার পয়সায় ব্যভিচারের দাওয়াত দেয়। এই পাপের হিস্যা আপনারও।

আমরা সবাই কর্পোরেশনের দাস হয়ে গেছি। অথচ মুখে বলি আমরা নাকি আল্লাহর দাস।

যেদিন এদেশের সিংহভাগ মানুষ মুসলিম হবে, শুধুমাত্র তখনই কর্পোরেশনগুলো আপনাদের দাস হবে, তার আগে এই দাসত্ব থেকে মুক্তি নাই।

তার আগে এরা মিডিয়াতে আসবে, মুখে স্যরি বলবে, কিন্তু কাজের বেলায় নিজ গতিতেই চলবে। কিছুই বদলাবে না।

নেক্সট টাইম অন্যকিছু বলে চাকরী দেবে না। মুখে বলবে না যে, দাড়িওয়ালা সলাতী মুসলিমকে চাকরী দেবোনা। কিন্তু তলে তলে আসল কারন এটাই হবে।

সমাধান কি?

সমাধান একটাই মুসলিম বাড়ান। নামধারী মুসলিম না, সত্যিকারের আসলামা করা মুসলিম। হিদায়াতের মালিক আল্লাহ, দাওয়াত দিতে থাকেন।

যতক্ষন দাড়ি সেইভ করা মেয়ে মানুষ পাওয়া যাবে ততক্ষন পর্যন্ত আড়ঙ্গের দাড়ি সেইভ করা মেয়ে মানুষগুলোই চাকরী পাবে।

দাড়ি সেইভ করা মেয়ে মানুষ না থাকলে, তখন কর্পোরেশনগুলো দাড়িওয়ালা ছেলেদেরকেই চাকরী দেবে।

শুরুতে নিজেদের বদলাতে হবে।

প্রতিটি পয়সার হিসাব নেওয়া হবে, নিজের টাকা বলে যেখানে সেখানে খরচ করে পার পাওয়া যাবে না। এক টাকা খরচ করার আগে ভাবেন, এই টাকা কাদেরকে শক্তিশালী করবে?

ইসলামকে নাকি ইসলামের শত্রুকে? এই টাকা তারা কোনখাতে খরচ করবে? ইসলামের খেদমতে, নাকি ইসলামের বিদ্বেষে?

আমি এখন পর্যন্ত ফ্রান্স আর ভারতের কোন পন্য কিনি না। জ্ঞান আর ক্ষমতা যতদিন আছে কিনবো না। রাসূল (সাঃ) কে ভালবাসি, সেইজন্য কিনবো না। আল্লাহ রব্বুল-আ’লামীনের অনুগ্রহ লাভের আশা করি, তাই কিনবো না।

নামাজ রোজা, হজ্জ, যাকাত দিয়ে জান্নাতে যাওয়া যাবে না, যদি না সাথে আল্লাহর রহম থাকে। সেই রহমের আশায় দুনিয়াতে একটু কম খাবো কম পরবো।

এই কম খাওয়া কম পরা সমাজ গড়ে তোলার আন্দোলন করেন। ধীর গতিতে হলেও পরিবর্তন আসবে ইন-শা-আল্লাহ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

17 − five =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য