আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্রোহী দল পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) এর সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে দেশটির সেনাবাহিনীর। দেশটির টিগ্রে এলাকায় এই লড়াই চলছে। অঞ্চলটি কার্যত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা এবং সেখানকার সর্বশেষ পরিস্থিতি বিশ্বের কাছে এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, ওই সংঘর্ষে শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। ঠান্ডা মাথায় সাধারণ মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এমনকি ছুরি দিয়ে কুপিয়েও বহু মানুষকে মারা হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
এদিকে ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, লড়াই শুরু হওয়ার পরেই টিগ্রের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফোন লাইন বন্ধ। ইন্টারনেট পরিষেবাও নেই। বিমান বাহিনী সমানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আগেও সেখানে বিচ্ছিন্নভাবে অনেক সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এবারের মতো এত রক্তক্ষয়ী সংঘাত আগে দেখা যায়নি। এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এতে বলা হয়, বহু মানুষকে ছুরি মেরে ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা কয়েকশ হতে পারে। তাদের কাছে যে ছবি এসে পৌঁছেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ওই অঞ্চল থেকে অসংখ্য মরদেহ সরানো হচ্ছে। সরকারের কাছে অ্যামনেস্টি দাবি করেছে, অবিলম্বে ফোন ও ইন্টারনেট চালু করা হোক। যাতে সেখানে কী হচ্ছে তা ঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লুগড়ি বলে একটি জায়গায় ফেডারেল বাহিনীকে হারিয়ে দিয়েছিল টিপিএলইফ। তারপরই সেনাবাহিনী আক্রমণ করে টিপিএলএফকে। এরপরই উভয় পক্ষের মধ্যে প্রবল যুদ্ধ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে এবং টিগ্রেকে বিদ্রোহী মুক্ত করা হয়েছে।