[১]
১৯ ই অক্টোবর,২০২৫
ভারতের মূল ধারার ইংরেজি পোর্টাল news18 (নিউজলিংক) এ একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ছিলঃ
“বাংলাদেশ কি পরবর্তী ইউক্রেন হবে নাকি কিউবা?”
এই আর্টিকেল টা লিখছে Pariksith Singh নামের একজন মেডিকেল প্রেক্টিশনার যে ফ্লোরিডাতে প্র্যাক্টিস করে। যাই হোক,সে আর্টিকেল এ লিখছে,
ভারতের দিকে এক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা এসেছে বিদেশের প্রভাবাধীন বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে। একটি সংবাদ ফ্ল্যাশে জানানো হয়েছে যে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ সম্ভবত তার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তুর্কি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন কিনতে যাচ্ছে। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, এটি ভারতের জন্য নতুন একটি ঝামেলা। আমি এতে ভিন্নমত পোষণ করি। আমার মনে হয়, এটি ভারতের জন্য একটি সুযোগ,নিজেদের জনগণ এবং বিশ্বের সামনে নিজেদের প্রমাণ করার।
যদি এই চুক্তি বাস্তবায়িত হয় এবং বাংলাদেশ সরকার অ্যান্টি-ইন্ডিয়া মনোভাব বজায় রাখে, তাহলে কোন সন্দেহ নেই, বাংলাদেশ পরবর্তী ইউক্রেন বা পাকিস্তান হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভারতের হাতে। ভারত চাইলে বাংলাদেশকে পরবর্তী কিউবা বানাতে পারে। এটি বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করতে পারে এবং স্পষ্ট করে দিতে পারে যে এই চুক্তি কখনোই অনুমোদিত হবে না।
যদি ভারত নিজেকে পরবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়, তাহলে ভারতকেও সেই মতো আচরণ করতে হবে। কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সময়, জন এফ কেনেডি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে কিউবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তলপেটে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করতে পারবে না। ঠিক তেমনই ভারতও বাংলাদেশের কাছ থেকে কোনো ‘কাঁটা’ সহ্য করবে না। 1971 সালে এক বড় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, Chicken Neck এলাকা প্রসারিত করা যায়নি এবং মুজিবুর রহমানকে Central Intelligence Agency (CIA) এর হাত ধরে হত্যা হওয়া ঠেকানো যায়নি। এটি এখন সংশোধন করার সুযোগ।
যদি এটি এখন না করা হয়, বাংলাদেশ নিজেকে পরবর্তী ইউক্রেন হিসেবে দেখতে শুরু করবে। নতুন একটি সামরিক ফ্রন্ট খোলা হতে পারে, যা ব্যবহার করতে পারে তুরস্ক, পাকিস্তান, চীন এমনকি পশ্চিমা দেশগুলো। একাধিক কৌশল আছে যা এই পরিস্থিতি প্রতিরোধ করতে পারে। ভারতকে কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে স্পষ্ট করতে হবে যে, এটি কখনোই অনুমোদিত হবে না। প্রয়োজনে পুরো বাংলাদেশকে অবরুদ্ধ করা যেতে পারে। এবং প্রয়োজনে হস্তক্ষেপও করা যেতে পারে। এটি এখনই করতে হবে, ক্ষেপণাস্ত্র(Missile) হাতে আসার পর নয়।
আর এটা কোনোভাবেই গণতন্ত্রের প্রশ্ন নয়। আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারকে ছদ্মছাত্র বিক্ষোভের আড়ালে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক শক্তি দ্বারা, হয়তো C|A, হয়তো |Si, হয়তো চীন। শুধুমাত্র এটা অজিত দোভালই ভালো জানেন অথবা তিনি জানেন না। যাই হোক না কেন, দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে ব্রহ্মপুত্রের পানির প্রবাহ কমানো যেতে পারে। বন্দর এবং ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট আটকে দেওয়া যেতে পারে।
ঘড়ি টিকটিক করছে। ভারতকে দ্রুত এবং দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যান্য শক্তিকে দেখাতে হবে, সীমারেখা কোথায়। হয়তো যদি ভারত এই কৌশলে দক্ষ হয়ে যায়, তবে ভবিষ্যতে একই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে। আমরা নাম উল্লেখ করব না, কিন্তু আমাদের পশ্চিমে এমন একটি দেশ আছে যা একটু শিক্ষা পাওয়া দরকার।এখনই সময় সাহসী হবার, যেমন ভারত সাহস দেখিয়েছিল Operation Sindoor বা অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করার সময়, বা 1971 সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সাহায্য করার সময়।
ভারতকে তার গান্ধী বা নেহেরু-ধারার ভূ-রাজনৈতিক আদর্শ থেকে মুক্ত হতে হবে একবারের জন্য। এবং করতে হবে আমেরিকার মতোই কৌশল, কিউবার মতো স্থায়ী বন্ধু তৈরি করা। এবং স্পষ্ট করে দিতে হবে খেলাধুলার নিয়ম যে, এই খেলার নিয়ন্ত্রণ ভারতে।
[২]
এতোক্ষণ পুরা নিউজটা পড়লেন,কয়েকটা জিনিস আমি পয়েন্ট আউট করবো শুধু।
চাণক্যের ছয়টা নীতি আছে যাদের মধ্যে পাঁচটা নীতিই হলো যুদ্ধমুখী,সেই পাঁচটা নীতি হলো:
১) অনবরত আঘাত করে শত্রুকে আহত করে রাখার নাম ই যুদ্ধ।
২) উদাসীন থাকার নাম ই নিরপেক্ষতা।
৩) সামরিক তৎপরতা চালানোর মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪) অন্যকে নিজের কাছে আশ্রয় ও নিরাপত্তা চাইতে বাধ্য করাই হচ্ছে মিত্রতা।
৫) একজনের সাথে শান্তি ও অন্যজনের সাথে যুদ্ধের নাম ই হচ্ছে দ্বৈতনীতি।
উপরের আর্টিকেলটা আর গত কয়েকদিনে মালু দ্বারা ধ|র্ষ|ণ এর ঘটনা,সেই সাথে শাহজালাল এয়ারপোর্ট সহ আরো বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগা সেই বিষয় কি নির্দেশ করেনা?
আপনি জিনিসটা এইভাবে ভাবতে পারেন,আমরা যখন বই এ পড়ি কোনো একটা সালে এতো এতো মহিলা ধ|র্ষি|ত হয়ছে কিংবা বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগানো হয়ছে তখন স্বাভাবিকভাবেই মাথায় আসবে এই সিচুয়েশন টা যুদ্ধের সিচুয়েশন,নরমাল সিচুয়েশন না। স্বাভাবিকভাবে এসব ঘটতে পারেনা এতোমাত্রায়। সেখান থেকে বোঝার কথা আমরা অলরেডি যুদ্ধের মধ্যেই আছি তবে সেটা এখনো পুরোপুরিভাবে প্রকাশিত মাত্রায় যায়নি। কিন্তু সামনের নির্বাচন আর তৎপরবর্তী ভারতের পদক্ষেপ গুলো বলে দিবে আমরা কি একটা বড়সড় যুদ্ধের দিকে যাচ্ছি কিনা!
