সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: ঢাকার কেরানীগঞ্জে উল্টে পড়া ভবনটির আশপাশের পাঁচটি বাড়িকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার সানজিদা আক্তার (দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল) আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাঁচটি বাড়ি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন।
আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে কেরানীগঞ্জের পূর্ব চরাইল খালপাড় এলাকায় খেলার মাঠের সামনে একটি তিনতলা বাড়ি উল্টে ডোবায় পড়ে যায়।
সানজিদা পারভীন বলেন, উল্টে যাওয়া তিনতলা বাড়িটির আশপাশের পাঁচটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ কারণে সেগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
যে বাড়িগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোর তিনটি দোতলা। দুটি একতলা। এর মধ্যে একটি একতলা বাড়ি আধাপাকা।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি উল্টে যাওয়ার ঘটনায় দুই নারী, এক শিশুসহ সাতজন আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া ভবনের ভেতর থেকে আরও সাতজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম আজ সকালে গণমাধ্যমকে জানান, সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কেরানীগঞ্জ ও ঢাকার সদর দপ্তরের পাঁচটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালায়। ভবনটি নিচু জমিতে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ভবনটির মালিকের নাম জানে আলম (৪৭)। তাঁর পরিবারসহ চারটি পরিবার ভবনটিতে বসবাস করে।
বাড়ির মালিক জানে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি তখন ঘুমিয়েছিলাম। মট মট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি বাড়ি একদিকে কাত হয়ে গেছে। পরে লাফিয়ে বের হয়ে আসি।’
উল্টে যাওয়া ভবনটির আশপাশ এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।