Saturday, October 5, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমযুগ জিজ্ঞাসা•• একজন বেহেশ্তি নারীর সংক্ষেপ জীবন- কাহিনী •••

•• একজন বেহেশ্তি নারীর সংক্ষেপ জীবন- কাহিনী •••

•• একজন বেহেশ্তি নারীর সংক্ষেপ জীবন- কাহিনী •••

*** আমার লিখতে ভয় হচ্ছে । কলম কাঁপছে । চোঁখ দিয়ে ঝরছে নিদাগ অশ্রু । আজ আসরের পর মসজিদে দরস দিতে গিয়ে এতোগুলো মানুষের সামনে Emotion ধরে রাখতে পারিনি । বারবার আটকে গিয়েছিলাম ! নিজের মা- বাবা, ভাই- বোন , স্ত্রী / সন্তান সহ সবার চেয়ে তাঁকে বেশী ভালোবাসি মনে হয়েছে । মুসল্লীদের সামনে খুব কেঁদেছি । আমার আর কিছুই ভালো লাগছেনা এ মূহুর্তে ।

*** বলুনতো সেই পবিত্র মহিয়সি নারী কে হতে পারেন ? কাকে নিয়ে আলোচনা করেছি ?

*** তিনি হলেন প্রিয় নবী করিম সা:’র পুত: পবিত্র দেহের একটি অঙ্গ ” সাইয়্যিদাহ ফাতেমা আয যাহরা ” রা: ।
فاطمة بضعة مني فمن اغضبها أغضبني “
” ফাতেমা হলেন আমার শরীরের একটি অংশ । তাঁকে রাগান্বিত করা মানে আমাকে রাগান্বিত করা ।”
ছহীহুল বোখারি ৩৭১৪
فاطمة بضعة مني يؤذيني ما أذاها
” ফাতেমাকে আঘাত করা মানে আমাকে আঘাত করা ।”
ছহীহ মুসলিম ২৪৪৯

*** যে কোন সফর থেকে মদীনায় ফিরে মহানবী সা: সর্ব প্রথমে ফাতেমা রা:কে দেখতে যেতেন । তাঁর কপালে চুমু দিতেন । মহানবী সা: ফাতেমা অপেক্ষা অন্য কোন মহিলার সংগে এমনকি স্ত্রীদের সংগেও এতো বেশী কথা বলতেন না ।”
আবু দাউদ শরীফ ৪২১৩,
সুনানে নাসাঈ ৯১৯২

*** সাইয়্যিদাহ আয়েশা রা: বলেন , মৃত্যুর সময় মহানবী সা: আমার সামনে ফাতেমা রা:’র সংগে অনেক কথা বলেছিলেন । এমতাবস্হায় কথার মাঝখানে ফাতেমা খুব কাঁদেন । অত:পর অনেক বেশী হাসতে থাকেন । রসুলের সা: মৃত্যেুর পর তাঁর কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম । তিনি বললেন ” আমার বাবা বলেছেন ” জিব্রাইল ফেরেশ্তা আ: আমার কাছে প্রতি বছর একবার করে কুরআন শুনিয়ে থাকেন । এ বছর তিনি ২ বার শোনালেন ! তার মানে আমার বিদায় নেয়ার সময় হয়েছে ! রসুলের সা: পরিবার থেকে তুমিই সর্ব প্রথম আমার সংগে মিলিত হবে । ” ফাতেমা রা: বললেন ” এ কথা শুনে আমি কেঁদেছিলাম । অত:পর আমার বাবা বললেন ” তোমাকে বেহেশ্তি মহিলাদের সম্রাজ্ঞী করা হবে ” এতে কি তুমি সন্তুষ্ট নও ? ” তখন আমি খুব বেশী হেসেছিলাম ! “
ছহীহুল বোখারি ৩৬২৩

*** ইসলাম ধর্মে সাইয়্যিদাহ ফাতেমা রা:’র চেয়ে এতো বেশী কোন পর্দাশীল মহিলা ছিলেন কিনা আমার জানা নেই । বদর যুদ্ধের পর খলীফাতুল মুসলিমীন আলী রা:’র সাথে তাঁর বিয়ে হয় । তিনি অসুস্হ অবস্হায় মৃত্যু শয্যায় বলেছিলেন ” আমার মৃত্যেুর পর পুরুষেরা আমার খাটিয়া কাঁধে উঠাবে, এ কথা ভাবতেও আমার লজ্জা হচ্ছে । ” অথচ আজকের মেয়েরা !!!!!! কিছু মহিলা তো ইসলামের লেভেল লাগিয়ে ফেইসবুকে এসে পুরুষদের সংগে চ্যাট, কমেন্টে হাসাহাসি বিনিময় নিয়ে ব্যস্ত !!! لا حول و لا قوة إلاّ بالله

*** মহানবী সা:’র ইন্তিকালের ৬ মাস পর ১১তম হিজরীতে ২৮ বছর বয়সে ( সারে ২৮) ৩ রমজান মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে বেহেশ্তি মহিলাদের সর্দার সাইয়্যিদাহ ফাতেমা রা: ইন্তিকাল করেন । তাঁর জানাযার গোসল দিয়েছিলেন আমীরুল মু’মিনীন আলী রা: এবং নামাজও তিনি পড়িয়েছেন । তাঁকে রাত্রেই দাফন করা হয় । যেনো কোন পুরুষ জানতেও না পারে ।

*** তাঁর খাটিয়া যে সাহাবীরা রা: কাঁধে উঠিয়েছিলেন , সবাই কেঁদেছিলেন এই ভয়ে যে, তাঁর পর্দার হেফাজত হচ্ছে তো ?

*** আমি আমার স্ত্রীকে অসিয়ত করে রেখেছি যে, আমরা উভয়ের মধ্যে যেই প্রথমে মারা যাবেন, একে অপরকেই গোসল দেবো inshallah . I’m speechless….

MQM Saifullah Mehruzzaman

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

1 × four =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য