ভয় ও কান্না
وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا عَائِشَةَ إِيَّاكِ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ فَإِنَّ لَهَا مِنَ اللَّهِ طَالِبًا» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ والْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ» صحیح ، رواہ ابن ماجہ (4242) و الدارمی (2 / 303 ح 2729) و البیھقی فی شعب الایمان (7261) ۔ (صَحِيح) |
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: হে ‘আয়িশাহ! তুমি ঐ সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাক যেগুলোকে ছোট বলে ধারণা করা হবে। কেননা এ সমস্ত ছোট ছোট গুনাহগুলোর খোঁজ রাখার জন্য আল্লাহ তরফ থেকে (ফেরেশতা) নিয়োজিত রয়েছে। (ইবনু মাজাহ, দারিমী, বায়হাক্বীর শুআবূল ঈমান) সহীহ ইবনু মাজাহ ৪২৪৩, সিলসিলাতুস সহীহাহ ৫১৩, ২৭৩১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব ২৪৭২, সিলসিলাতুস সহীহাহ্ ৫১৩, মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ্ ৩৪৩৩৭, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৫৬৮, শুআবূল ঈমান ৭২৬১, দারিমী ২৭২৬, আল মু’জামুল আওসাত্ব ২৩৭৭। ব্যাখ্যা : (إِيَّاكِ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ) সগীরা গুনাহকে তুচ্ছ মনে করা থেকে সাবধান হও। সগীরা গুনাহকে নির্দিষ্ট করে বলার কারণ হলো এ প্রকার পাপ সম্পাদনকারী এটা তুচ্ছ ভেবে তাওবাহ্ করা থেকে বিরত থাকে এবং এক্ষেত্রে আল্লাহর ভয়কে উপেক্ষা করে চলে। যদিও এর উপর অটল থাকলে এটা কবীরাহ্ গুনাহে রূপান্তরিত হয় আর সগীরা থাকে না। প্রতিটি সগীরা গুনাহ আল্লাহর বড়ত্ব এবং মহিমার তুলনায় বড়, গুনাহ অল্প হলেও তা অনেক বেশি অন্যায়। এজন্য আল্লাহ তা’আলা কখনো কবীরা গুনাহকে মোচন করেন কিন্তু সগীরা গুনাহের কারণে শাস্তি প্রদান করেন। আর এটা সূরাহ্ আন্ নিসার ৪৮ নং আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যেখানে তিনি বলেছেন, (وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ) অর্থাৎ শিরক থেকে নিচের কবীরা গুনাহকে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। (فَإِنَّ لَهَا مِنَ اللَّهِ طَالِبًا) কেননা সগীরা গুনাহ তুচ্ছকারীকে সর্বদা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবধারিত শাস্তি অন্বেষণ করে। অতএব এ থেকে উদাসীন থাকা উচিত নয়। বরং তা থেকে বেঁচে থাকা উচিত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ইবনু মাজাহ ৪/৪২৪৩) |