চলতি ও আগামী বছর ওমরাহ কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহী বৈধ এজেন্সির তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ওমরাহ এজেন্সিগুলোকে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ধর্ম সচিব বরাবর নিজস্ব প্যাডে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে যেসব ওমরাহ এজেন্সির নবায়নের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অথবা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর বা নিকটবর্তী সময় উত্তীর্ণ হবে সেসব এজেন্সিকে লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে নবায়ন ফি ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ প্রযোজ্য অর্থ এবং অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে বলা হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে কোনো কারণে ওমরাহ এজেন্সির ট্রাভেল সনদ বাতিল করা হলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ওই এজেন্সির লাইসেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মার্চে ওমরাহ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব সরকার। ৪ অক্টোবর থেকে শর্ত সাপেক্ষে ওমরাহ পালন শুরু হয়। মহামারীর কারণে এবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ হজও সীমিত আকারে পালিত হয়েছে। সৌদি সরকার জানিয়েছে, তিনটি ধাপে ওমরাহ কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। প্রথম ধাপে শুধু সৌদি আরবের অবস্থানরতরা সুযোগ পাচ্ছেন। ওমরাহর অ্যাপের মাধ্যমে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়েছে তাদের। এমনিতে আগে দৈনিক ২০ হাজার জনকে ওমরাহ করার অনুমতি দেওয়া হলেও প্রথম ধাপে এর ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ এক দিনে ছয় হাজার জনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওমরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৮ অক্টোবর থেকে তা বাড়িয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার জনকে ওমরাহর জন্য মসজিদুল হারামে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করা এবং বিদেশ থেকে আসা ওমরাহযাত্রীদের মক্কার মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেওয়ার কথা। এর ফলে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষ ওমরাহ করার সুযোগ পাবেন।