বহুদিন ধরে চলে আসা বিতর্কের অবসান ঘটল অবশেষে। নারী বা ‘ওম্যান’ (Woman) শব্দটির সংজ্ঞায় ব্যবহৃত একাধিক যৌন সুড়সুড়িদায়ক ও অপমানজনক শব্দ অভিধান থেকে সরিয়ে নিয়েছে অক্সফোর্ড। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে প্রকাশিত ডিকশনারির সর্বশেষ সংস্করণে ‘ওম্যান’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ বা সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, একজনের স্ত্রী, বান্ধবী কিংবা Female Lover। নতুন সংজ্ঞায় ‘বিচ’, ‘বিন্ট’, ‘ওয়েনচ’র মতো বেশ কিছু অপমানজনক ও যৌন সুড়সুড়িদায়ক শব্দ যেমন বাদ দেওয়া হয়েছে; তেমনই বাদ দেওয়া হয়েছে লিঙ্গবৈষম্যমূলক শব্দও। এ প্রসঙ্গে অক্সফোর্ডের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “অভিধানে ‘ওম্যান’ শব্দটির সংজ্ঞায় আমরা কিছু পরিবর্তন এনেছি। বেশ সুন্দর উদাহরণ ও শব্দ যুক্ত করা হয়েছে।”
তবে অক্সফোর্ডের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে ছিল মারিয়া বিট্রিস জিওভানার্দি নামে এক নারীর অনলাইন পিটিশন। ২০১৯ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিকে তাদের অভিধান থেকে নারী বা ‘ওম্যান’ শব্দটির সংজ্ঞায় ব্যবহৃত আপত্তিকর শব্দ সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান। মূলত ‘বিচ’, ‘বিন্ট’, ‘ওয়েনচ’র মতো বেশ কিছু শব্দের বিরুদ্ধেই আপত্তি জানান। পাশাপাশি বলেন, বাদ দিতে হবে লিঙ্গবৈষম্যমূলক শব্দও। আর এ নিয়েই দেখা দেয় নয়া বিতর্ক। গোটা বিশ্বে অনেক নারীই তাঁকে সমর্থন জানান। ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ ওই অনলাইন পিটিশনে সই করে।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের খুশির কথাও জানিয়েছেন জিওভানার্দি। তবে তাঁর ভাষায়, তিনি এখন ৮৫ শতাংশ খুশি। কারণ অনেক কাজ বাকি। সম্প্রতি পুরুষ বা ‘মেল’ (Male) শব্দের সংজ্ঞাতেও একই পরিবর্তন করা হয়েছে। অনেকেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।