আপনি কি জানেন ⁉️
️ কিয়ামতের দিন হাউজে কওসার হতে কাদেরকে বিতাড়িত করা হবে!
আবূ হুরাইরা (রাঃ) বর্ননা করেনঃ
হাউজে কওসারের পানি পান করার জন্য পিপাসার্ত লোক (কিয়ামতের) দিন
নাবী (ﷺ) -এর নিকট উপস্থিত হবে। কিন্তু তাদেরকে নিরুদ্দেশ উট বিতাড়িত করার ন্যায় বিতাড়িত করা হবে। তিনি (ﷺ) বলবেন, ওরা আমার দলের (বা ওরা তো আমার উম্মত)।’ বলা হবে, আপনি জানেন না, আপনার বিগত হওয়ার পর ওরা কি নবরচনা (বিদ’আত) করেছিল। তখন নাবী (ﷺ) তাদেরকে বলবেনঃ “দূর হও, দূর হও।”
(মুসলিম ৫৮৬৩, ই.ফা. ৫৭৬৮, ই.সে. ৫৭৯৯, ৫৮৬৮, ই.ফা. ৫৭৭২, ই.সে. ৫৮০৩,
হাদিস সম্ভার ১৪৯)
একবার
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একটি কবরস্থানে এসে বললেন, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে কবরবাসী মু’মিনগণ! ইন্শাআল্লাহ আমরাও তোমাদের সাথে এসে মিলব।
আমার বড় ইচ্ছা হয় যে আমাদের ভাইদেরকে দেখি।
সাহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমরা কি আপনার ভাই নই?
তিনি (ﷺ) বললেন, তোমরা তো আমার সাহাবা। আর যারা এখনো (পৃথিবীতে) আসেনি তারা আমাদের ভাই।
সাহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আপনার উম্মাতের মধ্যে যারা এখনো (পৃথিবীতে) আসেনি তাদেরকে আপনি কিভাবে চিনবেন?
তিনি (ﷺ) বললেন, “কেন, যদি কোন ব্যক্তি সাদা রঙের কপাল ও সাদা রঙের হাত-পা বিশিষ্ট ঘোড়া অনেকগুলো কালো ঘোড়ার মধ্যে মিশে যায় তবে সে কি তার ঘোড়াকে চিনে নিতে পারবে না?
তাঁরা বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)!
তিনি (ﷺ) বললেন, তাঁরা (আমার উম্মাত) সেদিন এমন অবস্থা আসবে যে, ওযূর ফলে তাদের মুখমন্ডল, হাত-পা জ্যোতির্ময় হবে। আর হাওযের পাড়ে আমি হব তাদের অগ্রনায়ক।
জেনে রাখ, কিছু সংখ্যক লোককে সেদিন আমার হাউজে কাওসার থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে যেমনিভাবে বেওয়ারিশ উটকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। আমি তাদেরকে ডাকব, এসো, এসো।
🔊 তখন বলা হবে, “এরা আপনার পরে (আপনার দীনকে) পরিবর্তন করে দিয়েছিল”।
তখন আমি বলব, “দূর হও, দূর হও”।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৭২, ই.ফা. ৪৭৫, ই.সে. ৪৯১)।