Sunday, November 10, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরকিশোরী লোপা এখন কিশোর আতিকুল!

কিশোরী লোপা এখন কিশোর আতিকুল!

১৩ বছর আগে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর গ্রামের আতাউর রহমান ও তার স্ত্রীর কোলজুড়ে এক কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মা আদর করে তার নাম রেখেছিল আতিকা আক্তার লোপা। লোপার ছোটবেলা থেকেই শাররিক গঠন বৃদ্ধি পেয়ে সে একজন কিশোরী  হিসেবেই বড় হতে থাকে।

বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা তাকে মেয়ে হিসেবে দেখে এসছে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেই আতিকা আক্তার লোপা কিশোরী থেকে পরিবর্তন হয়ে সে এখন একজন কিশোর হিসেবে পরিনিত হয়েছে। এ বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হওয়ার পর থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে মেয়েটি ছেলে হওয়ার পর এখন তার নাম আতিকুল ইসলাম।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আতিকুলের বাবার মৃত্যুর পর তাদের পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়ে। জীবিকার তাগিদে লোপার মা লোপাকে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। সেখানকার একটি স্কুলেও লোপা ভর্তি হয়। সেখানে ৪র্থ শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় লোপার কন্ঠ ধিরে ধিরে ছেলেদের মতো রুপ নেয়। এ ঘটনা  তার মা জানার পর থেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। অসহায় নারী ঢাকায় করর্মরত অবস্থায় লোপাকে নিয়ে এক বিশেষজ্ঞর কাছে পরামর্শ নেন।

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ড়. দিবাশ বর্রন বিশ্বাস প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমরা লোপার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর কয়েক সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করি। প্রথম ধাপের অপারেশন করার পর সে অনেকটা সুস্থ হয়। তিনি আরো বলেন,  তবে বাকী দুইটি অপারেশন সঠিক সময়ে করতে হবে। তাহলেই সে ছেলে হিসেবে সুস্থ্য স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে। অপারেশন সঠিক সময়ে করতে না পারলে তৃতীয় লিঙ্গে পরিনিত হতে পারে।

আতিকুলের মামা মো হারুন জানায়, অসহায় পরিবার থেকে অনেক কষ্ট করে টাকা পয়সা সংগ্রহ করে ঢাকার উত্তরার শিন শিন জাপান হাসপাতালে প্রথম অপারেশন করানো হয়েছে। তবে বাকি দুইটি অপারেশন সঠিক সময়ে করার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দরকার। ঐ পরিবার থেকে এতো টাকা জোগানো সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার যদি সহযোগিতা করে তাহলেই হয়তো আতিকুল সুস্থ জীবনে ফিরে আসবে।

আতিকুলের দাদী আহেলা বেগম জানান, ছোট বেলা থেকেই মেয়ে হিসেবে বড় করেছি। আল্লাহর রহমত করেছে। এখন মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছে। তাই প্রথম ধাপের অপারেশন করার পর সে একটু সুস্থ হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছে। আসার পরেই সে মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ার খবর পেয়ে প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে হাজারও জনতার ভীড় জমে।

আতিকুল বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য কান্না করতাম। কিন্তু কেউ আমাকে নামাজ পড়তে নিয়ে যেতো না। আমি সব সময় একা একা ঘরে বসে আল্লাহর কাছে বলতাম আল্লাহর তুমি আমাকে ছেলে বানায়া দাও আমি মসজিদে নামাজ পড়তে যাব।

আল্লাহর অশেষ রহমতে আজ আমি থেকে মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছি। আল্লাহ আমার মনের কথা শুনেছে। আজ আমার মনের আসা পূরণ করেছে। আতিকুলের পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীর দাবি সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তবেই হয়তো লোপা স্বাভাবিক ও একজন পরিপূর্ণ ছেলে হিসেবে সমাজে চলতে পারবে। 

পিডিএসও/এসএম শামীম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

16 + two =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য