নগরীর ডবলমুরিং থানার বংশালপাড়ার একটি বাড়ির ছাদে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে। সেটি ওই এলাকায় গুলির উৎস খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে ডবলমুরিং থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক। তিনি জানান, রাতে বংশালপাড়া এলাকায় একটি গুলির শব্দ শোনা যায়। সেই গুলির শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়েই পাঠানটুলি বংশাল পাড়ায় বাড়ির ছাদে এই কারখানার কারখানার সন্ধান মেলে।
এসময় দুইটি পাইপগান, একটি এয়ারগান, অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জামসহ মেহেরুন্নেছা মুক্তা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত এই কারখানায় পাইপগানের মত অস্ত্র তৈরি করা হয়। আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হলেও মূলহোতাসহ আরও দুইজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরো জানান, সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযানের পর গুলির শব্দের উৎস চিহ্নিত করতে সমর্থ হন তারা। পরে বংশাল পাড়া গফুর খান সওদাগরের সেই বাড়ির ছাদের একটি কক্ষে মেলে অস্ত্র তৈরির কারখানা। সরঞ্জামগুলো একটি কবুতরের বাসায় লুকানো ছিল। এই কারখানার মালিক মোহাম্মদ নিজাম খাঁন। ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে তিনিই শাহ আলম নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করেন। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে শাহ আলম বেঁচে যান। গুলির শব্দে চারিদিকে মানুষজন বের হলে নিজাম পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।