চট্টগ্রাম মহানগরে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ে জড়িত ১২ গ্রুপ। যাদের সদস্য সংখ্যা তিন শতাধিক। আর চোরাই এসব মোবাইল বিক্রয়ে জড়িত অন্তত ৫০ ব্যবসায়ী। মোবাইল ফোন ছিনতাই গ্রুপের সদস্য এবং বিক্রয়ে জড়িত এমন ১১ জনকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য বেরিয়ে আসে।
বৃহসপতিবার কোতোয়ালি থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন কথা বলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।
তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানাধীন পুরাতন রেলস্টেশন, নতুন রেলস্টেশন ও নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোন চোর ও ছিনতাইকারী এবং চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির সঙ্গে জড়িত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোট ২০২টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. ফজলুল করিম (৩৫), মো. শাহ আলম (৩০), মহিউদ্দিন (২৭), রাজিব হোসেন (২৭), শাকিল (২৪), এবং রবিন (২৩), মো. শাহাদাত (২২), মো. সাজ্জাদ (২২), দুলাল (২০), মিজানুর রহমান রাকিব (২০) ও ইয়াকুব হোসেন সাইমুন (১৯)।
তিনি জানান, পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে ফজলুল করিম ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে বাকি ১১ ছিনতাইকারী ও বিক্রয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ৩টি স্টিলের ছোরাসহ আরো ৯টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেপ্তার ১১ জনের মধ্যে রয়েছে মোবাইল চোর, ছিনতাইকারী ও চোরাই মোবাইল বিক্রেতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, কোতোয়ালি এলাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ১২টি গ্রুপ এবং চোরাই মোবাইল বিক্রির সঙ্গে জড়িত ৫০ জন ব্যবসায়ী। তাদের অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওসি জানান, মোবাইল ফোন ছিনতাই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে রাব্বি, বাদশাহ, হোসেন, আলী, বস লিটন ও আজম। এরা পরসপর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাতের বেলায় অস্ত্র দেখিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করা মোবাইল রেলস্টেশন এলাকায় বিক্রি করে। অভিযানে পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি মহসীন।
ওসি বলেন, চোরাই মার্কেটে প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন অর্ধেক দামে বিক্রি করা হয়। এসব ফোন যারা কেনেন তারা মনে করেন অল্প দামে ফোন পাচ্ছেন। কিন্তু এসব কিনে তারা বিপদে পড়েন। আমরা অনুরোধ করবো যাতে কেউ চোরাই মোবাইল না কেনেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি’র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) নোবেল চাকমাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।