কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে ২২ দিন বন্ধ ছিল গণপরিবহন। আজ থেকে শহরের ভেতরে গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে অফিসগামীদের মনে। তবে কোনও গণপরিবহন জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বাসের চাকা ঘুরতে দেখা গেছে। বিমানবন্দর সড়কে সকাল সাতটার দিকে বাসে অর্ধেক যাত্রী নিতে দেখা গেছে। ভাড়া রাখা হচ্ছে ৬০ শতাংশ বেশি।
বাড্ডা-মিরপুর সড়কেও যান চলাচল করতে দেখা গেছে। অফিসগামীরা সকাল থেকেই বাসে চড়ে অফিস যাচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বাসে ভিড় বাড়তে দেখা গেছে।
ঢাকার বাইরেও বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস চলাচলের খবর পাওয়া গেছে।
কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করে গাড়ি চালানোর জন্য ঢাকা মহানগরের সব রুটের মালিক সমিতি বা পরিবহন কোম্পানির নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো
১. আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
২. যাত্রীবাহী যানের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হবে। অর্থাৎ দুই আসনের সারিতে একজন করে বসবেন।
৩. কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০% বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৪. ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৫. পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া মালিক সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এগুলো হচ্ছে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী ওঠানো যাবে না। যানবাহনের শ্রমিকদের মাস্ক সরবরাহ করবে ওই যানের মালিক। যাত্রীবাহী যানের অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখতে হবে। অর্থাৎ দুই আসনের সারিতে একজন করে বসবেন। দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। লকডাউনের কারণে এমনিতেই সাধারণ মালিক-শ্রমিকেরা কষ্টে আছেন। এ অবস্থায় পরিবহন সমিতি বা কোম্পানির নামে কোনো জিপি (গেটপাস) আদায় করা যাবে না।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে ৫ মের পর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল আগের মতোই বন্ধ থাকবে।
পিডিএসও/ইউসুফ