ভুটান-নেপালের জন্য মোংলা বন্দর খুবই উপযোগী। কারণ এখানে সড়ক, নৌ ও রেলপথ বিদ্যমান রয়েছে। মোংলা বন্দরকে ঘিরে আখাউড়া ও বাল্লা স্থলবন্দর সচল করা হচ্ছে। ভারতের অর্থায়নেও মোংলা বন্দরের উন্নয়ন করা হবে।
চীন ও ভারতের উন্নয়ন প্রকল্প দুইটি বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দরের চেহারা আগামী দুই বছরের মধ্যে পরিবর্তিত হবে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় মোংলা বন্দর জেটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
নৌ উপদেষ্টা বলেন, ৭০/৭৫ বছরের পুরোনো পোর্ট মোংলা। এ পোর্টটি তেমনভাবে প্রচারিত নয়।এর অনেক ভবিষ্যৎ আছে। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য এ পোর্টটি যেভাবে তৈরি করার কথা এতো দিনে এখনো তা হয়নি। এখানে কনটেইনার টার্মিনাল নেই। অতিসত্বর একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে চীনের সঙ্গে।
এ চুক্তির কাজ দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে। ফলে এখানে কনটেইনার টার্মিনাল হবে। তাতে চট্টগ্রামের ওপরও চাপ কমবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. শাহীন রহমানসহ বন্দরের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন মোংলা বন্দর পরিদর্শনে আসেন।ওই দিন তিনি বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ও বন্দরের পশুর চ্যানেল পরিদর্শন করেন। বুধবার সকালে তিনি বন্দরের ভিটিএমআইএস, বন্দর জেটি ও ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এরিয়া পরিদর্শন করেন। পরে সকাল ১১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে মোংলা ত্যাগ করেন।