চলতি বছরের ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুতে ৩০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৩ জন মারা গেছেন। অক্টোবরেই মারা গেছেন ১৩৪ জন। যা এ বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ১৯৯ জনে। অক্টোবরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৮৭৯ জন।
কীটতত্ত্ববিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, নভেম্বর ও ডিসেম্বরেও ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে দেশে। তিনি বলেন, জলবায়ুর প্রভাব, মাঠে এডিস মশার ঘনত্ব, রোগীও আছে এর সঙ্গে। সব ফ্যাক্টর একত্রে হওয়ার কারণে প্রকোপ কমছে না। তিনি বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি কার্যকর হতে হবে। তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় প্রশাসন এখনো তেমন কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
আরও পড়ুন
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর এখন আর শুধু বর্ষা মৌসুমের রোগ নয়। ধরন বদলে সারা বছরজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গু। এমনকি শীতেও ছড়াচ্ছে প্রকোপ। আগে রাজধানী ঢাকায় বেশি দেখা দিলেও এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিভাগীয় শহরগুলোতেও। জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কমবেশি মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে। অন্যদিকে, মৃত্যু বেশি হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। উত্তর ও দক্ষিণে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কাছাকাছি। উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৩ হাজার ২৩৮ জন এবং দক্ষিণে ১২ হাজার ১০৫ জন। দক্ষিণে মৃত্যু ১৪২ জন। উত্তরে মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এর পরের অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, সেখানে আক্রান্ত ১০ হাজার ৯২৫ জন, মৃত্যু ৩১ জনের।
আরও পড়ুন