তুরস্কে যৌন অপরাধের দায়ে এক ভণ্ড ধর্ম প্রচারককে ১০৭৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ৬৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম আদনান ওকতার। তিনি নারীদের ‘বিড়ালছানা’ বলে সম্বোধন করতেন। গতকাল সোমবার নারী ও শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচার, গুপ্তচরগিরি ও জালিয়াতির একাধিক অভিযোগে তুরস্কের ফৌজদারি আদালত তার বিরুদ্ধে এ রায় দিলেন।
এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসে নারী ও শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচার, গুপ্তচরবৃত্তি ও জালিয়াতিসহ একাধিক অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ইস্তানবুল পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধদমন শাখার পুলিশ। তারপর থেকে আড়াই বছর ধরে মামলা চলার পর তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনান তুরস্কের উচ্চ ফৌজদারি আদালত।
তুরস্কের বিতর্কিত ইসলামিক প্রচারক ও বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের লেখক আদনান ওকতার ওরফে হারুন ইয়াহিয়া টিভিতে ইসলামিক বিষয়ে বক্তব্য রাখতেন। বিভিন্ন টক শোতেও ইসলামিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করতেন। আর সেই সব আলোচনার ফাঁকে চড়া মেকআপ ও স্বল্প পোশাক পরা সুন্দরী নারীদের সঙ্গে নাচতেন সবার সামনে। এই মহিলাদের আবার আদর করে নিজের ‘বিড়ালছানা’ বলেও পরিচয় দিতেন তিনি।
আবার তার নামে অপরাধমূলক সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া, নারী ও শিশুদের যৌন নিপীড়ন, অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হুমকি, ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ, মানুষকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, নির্যাতন, পাচার, সামরিক গুপ্তচরবৃত্তি, জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এরপরই ইস্তানবুলের বাড়ি থেকে আদনান ওকতারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সে সময় মোট ২৩৬ জনকে আটক করা হয়েছিল।
পরে তাদের মধ্যে ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকারের পাশাপাশি তার হাজারের বেশি বান্ধবী রয়েছে বলেও জানায় আদনান। তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথাও স্বীকার করে সে। এরপরই তাকে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।