ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং ঘুরতে গেলে এবার থেকে দিতে হবে কর। সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং পৌরসভা। ইতোমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা বিভিন্ন হোটেল মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। একই সাথে করের কুপনও পৌঁছে দেয়া হয়েছে শৈল-শহরের হোটেলগুলোতে।
পৌরপ্রধান দিপেন ঠাকুরি জানান, শহরের পরিষ্কার-পরিচ্ছনার জন্য এই কর নেয়া হবে।
তবে এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পর্যটন সংস্থাগুলো। তাদের অভিযোগ, কোনো রকম আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দিপেন জানান, এই করের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ৩০ বছর ধরে এই কর চালু ছিল দার্জিলিংয়ে। জিএনএলএফ-এর আমলে নেয়া হয়েছে। ব্যতিক্রম হয়নি বিমল গুরুংয়ের আমলেও। মাঝের কয়েক বছর পর্যটকদের থেকে এই কর নেয়া বন্ধ হয়েছিল। আবার তা চালু করা হলো। আগে যেমন করের অংক ২০ রুপি (ভারতীয় মুদ্রা) ছিল, এখানো তাই রাখা হচ্ছে।
পৌরপ্রধানে কথায়, ‘শহরের ময়লা পরিষ্কার করতে অনেক খরচ হচ্ছে পৌরসভার। এ কারণেই বাধ্য হয়ে আবার ওই কর ফিরিয়ে আনা হলো। পাহাড়ে পর্যটকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতেই এই সিদ্ধান্ত।’
তিনি দাবি করেন, সবার সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার অভিযোগ, আগে যে কর সংগ্রহ করা হতো, তার কোনো হিসাব থাকত না।
তার আশা করেন, এবার থেকে সকল হিসাব রাখা হবে। একই সাথে নিয়ম মেনে টেন্ডার ডেকে কাজ করা হবে।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল দাবি করেন, তাদের সাথে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সম্রাট বলেন, ‘আগেও এই কর নেয়া হতো। এটা নতুন কিছু নয়। তবে মাঝে বহু বছর তা বন্ধ ছিল। আমরাও একটা বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি। কিন্তু বিস্তারিত কিছুই জানি না এখনো। হোমস্টে বা হোটেলের ক্ষেত্রে কিভাবে এই নিয়ম কার্যকর করা হবে, তা এখনো পুরোপুরি অবগত নই। তবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সবার সাথে বৈঠক করলে হয়তো ভালো হতো। যদিও কর শুধুমাত্র দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ বলে জেনেছি।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা