Saturday, December 14, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরদ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের করণীয়

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের করণীয়

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে পারিবারিকভাবে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে স্বল্প আয়ী মানুষ। সন্তানদের লেখাপড়া, বাসাভাড়া, বাজার ও মা-বাবার ওষুধের খরচ মেটাতে নিয়মিত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। নিত্যপণ্যের দাম সহনশীলতায় আসুক সেই প্রত্যশা সবারই। এ জন্য ব্যবসায়ীদের ভূমিকা অতুলনীয়। বাজারে ব্যবসায়ীরা আমাদের উপকারের জন্য সর্বদা চেষ্টা করেন। ব্যবসা শুধুই টাকা অর্জন নয়, ব্যবসায় রয়েছে অধিক পরিমাণ সওয়াব। ব্যবসায়ীরা দ্রব্য বিক্রি করে ক্রেতাদের উপকার করে এবং উপকারের সওয়াব পেয়ে যায়। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধির অন্যতম একটি উপায় ব্যবসা। ব্যবসার মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া যায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত টাকা অর্জনের জন্য প্রিয় নবী (সা.)-এর ব্যবসায়িক নিয়ম বাদ দিয়ে ধোঁকা ও প্রতারণা দিয়ে ব্যবসাকে নষ্ট করছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধোঁকাবাজ ব্যবসায়ীরা রসুলুল্লাহর দল থেকে বহিষ্কার হবে। যা সহিহ বুখারি শরিফে উল্লেখ রয়েছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ধোঁকা দেয় ও প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়।’

অবৈধ ব্যবসায়ীরাই খাদ্যে ভেজাল, কালোবাজারি, ওজনে কমসহ ক্রেতাদের জিম্মি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য গুদামজাত করে। এ ধরনের ব্যবসা করে সম্পদশালী হওয়াতে কোনো মূল্য নেই। অন্যকে কষ্ট দিয়ে সম্পদশালী হলে সেই সম্পদ নিজের উপকারে আসবে না। এ সম্পদ দুনিয়াতেই অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে। মূল্যবৃদ্ধির জন্য খাদ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে আল্লাহতায়ালা তাকে দুরারোগ্য ব্যাধি ও দারিদ্র্য দ্বারা শাস্তি দিয়ে থাকেন। এ জন্য সৎ নিয়তে ব্যবসা করা খুবই জরুরি। সৎ ও বৈধ উপায়ে ব্যবসা করলে আল্লাহতায়ালা বরকত দান করেন। তাকে অপ্রত্যাশিত রিজিক দেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘খাঁটি ব্যবসায়ী রিজিকপ্রাপ্ত হয় আর পণ্য মজুতকারী অভিশপ্ত হয়।’ ইবনে মাজাহ। অবৈধ ব্যবসায়ীরা পবিত্র খাদ্যে ভেজাল মেশানোর ফলে আজ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি বৈকল্য, চর্মরোগ ইত্যাদি ব্যাধি মানুষের দেহে বাসা বেঁধে তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ব্যবসায়ীদের কোনোভাবেই সহোযোগিতা করা যাবে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট, কালোবাজারি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সমাজিকভাবে এ ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করতে হবে। সৎ ব্যবসায়ীরা অবৈধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। সব ব্যবসায়ীকে সৎভাবে ব্যবসা করার জন্য উৎসাহ প্রদান করতে হবে। মনে রাখা জরুরি, মূল্য বাড়িয়ে ব্যবসা বা ভেজাল করলে আমাকেও বেশি দামে ক্রয় এবং ভেজালে পড়তে হবে। ব্যবসা করা হালাল, নবী, রসুল, সাহাবিগণও ব্যবসা করতেন। হালালভাবে ব্যবসা করা আনন্দের বিষয়। ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ীরা কেয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গে থাকবেন।’ তিরমিজি।লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

বিডি প্রতিদিন/এমআই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

4 + seventeen =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য