নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে ২২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত নেওয়ার পাশাপাশি সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার, সুশীলসমাজ, সংবাদকর্মী, নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সরাসারি সংলাপ করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এদিকে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে ১১ নভেম্বর সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছে কমিশন। আজ বেলা আড়াইটায় নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সঙ্গে সংলাপ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে মতামত নিতে ২৪ নভেম্বর অনলাইনে সংলাপের আয়োজন করেছে সংস্কার কমিশন। এজন্য ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের সময় দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ বিষয়ে প্রবাসী
বাংলাদেশিদের মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠেয় অনলাইন সভায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ওয়েবসাইটে নোটিস দিয়েছে সংস্কার কমিশন। এ ক্ষেত্রে ২৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় অনলাইন সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় প্রতিটি দেশ থেকে দুজন অংশগ্রহণকারীকে নির্বাচিত করবে কমিশন। সভায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ২০ নভেম্বরে মধ্যে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে। এদিকে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২২টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত চেয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ৪৮টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত আছে। তবে যেসব দল ও জোটকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে অনেক নিবন্ধিত দল এসব জোটভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া চাইলে যে কোনো দল, সংগঠন বা ব্যক্তি সংস্কার বিষয়ে তাদের মতামত দিতে পারবেন ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গতকাল ১৫ নভেম্বর মতামত দেওয়ার শেষ দিন থাকলেও সে সময় বাড়িয়েছে সংস্কার কমিশন।১১ নভেম্বর সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনার সঙ্গে বৈঠক করেছে সংস্কার কমিশন। আরও দুজন সাবেক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিকসহ কিছু অংশীজনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে সংস্কার কমিশন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রস্তাব জমা দেবে কমিশন। এরপর সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে সরকার। প্রস্তাব তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় পর্যালোচনা করবে সংস্কার কমিশন।
সূত্র জানিয়েছেন, ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ওয়েবসাইটে ৩৬৪টি মতামত পেয়েছে কমিশন। ইমেইলে পেয়েছে ১৭১টি, ফেসবুক পেজে ২৯৪টি ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে ৬৭টি মতামত দিয়েছেন নাগরিকরা। এর মধ্যে ছয়টি বিষয়ে বেশি মতামত দিয়েছেন নাগরিকরা। এগুলো হলো নির্বাচন পদ্ধতি; সংবিধান ও নির্বাচনি আইন; প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা; নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, ক্ষমতা; ভোটের স্বচ্ছতা; নির্বাচনকালীন সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা। এসব মতামত ২২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিয়েছেন নাগরিকরা।