Monday, October 14, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমযুগ জিজ্ঞাসাপর্দাহীনতার বারোটি কুফল ও ভয়াবহ পরিণতি

পর্দাহীনতার বারোটি কুফল ও ভয়াবহ পরিণতি

পর্দা নিয়ে কষ্ট করে লিখাটুকু পড়া আর বুঝার চেষ্টা করা দরকার, আশা করি জীবন বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।।

পর্দাহীনতার বারোটি কুফল ও ভয়াবহ পরিণতি
দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ-সফলতা লাভ করার জন্য আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কিছু বিধান দিয়েছেন। যে বিধানগুলো মানলে আমরা হতে পারবো প্রকৃত মুমিন। আর না মানলে আমাদের ইসলাম ও ঈমান অসম্পূর্ণই রয়ে যাবে। এ সকল বিধানের মাঝে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান হলো পর্দা।

পর্দা এমন একটি বিধান যা লঙ্ঘন করলে অনেক দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। পর্দাহীনতার বারোটি বড় ধরনের কুফল নিম্নে দেয়া হলো

১/ পর্দা আল্লাহর হুকুম।

পর্দা না করলে আল্লাহ ও তার রাসূলের হুকুম লঙ্ঘিত হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের নাফরমানি করলো সে নিজেরই ক্ষতি করলো। এর ফলে আল্লাহর সামান্যও ক্ষতি হয় না।

২/ পর্দাহীনতা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হবার কারণ।

রাসূলুল্লাহ [সা] এরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের মাঝে এমন কিছু নারী হবে যারা কাপড় পরিহিত হয়েও বিবস্ত্র থাকবে। তাদের চুল হবে উটের কুঁজের মতো। তাদেরকে অভিশাপ করো। কারণ তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশপ্ত। আর যে দুনিয়াতে আল্লাহর অভিশাপ-পতিত হবে সে তো আল্লাহর রহমত থেকে দূরেই।

৩/ পর্দাহীনতা জাহান্নামী হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

রাসূলুল্লাহ [সা] এরশাদ করেছে জাহান্নামীদের দু‘টি দলকে এখনো আমি দেখিনি। এর মাঝে দ্বিতীয় প্রকার হলো সেসব নারী যারা কাপড় পরিহিত হয়েও উলঙ্গ থাকবে। অর্থাৎ কাপড় পরিধান করা সত্বেও তাদেরকে দেখে বিবস্ত্র মনে হবে।

৪/ পর্দাহীনতা কেয়ামত দিবসের একটি গাঢ় অন্ধকার।

রাসূলে কারিম [সা] এরশাদ করেছেন, যেসব নারীরা পর্দা লঙ্ঘন করে রূপ প্রদর্শন করে ঘর থেকে বের হয় তাদের উদাহরণ কেয়ামতের অন্ধকারের মতো। যার মাঝে কোন আলোই নেই।

৫/ পর্দাহীনতা একটি মুনাফেকী।

নারীদের উদ্দেশ্য করে রাসূলে কারিম [সা] বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই নারীই সর্বোত্তম যে স্বামীর প্রতি গভীর মুহাব্বত পোষণ করে, অধিক সন্তান প্রসবকারিনী, স্বামীর মেজাজ ও রুচির প্রতি সর্বদা লক্ষ্য রাখে এবং বিপদাপদে স্বামীকে সান্তনা প্রদান করে। তবে শর্ত হলো তার দীলে তাকওয়া ও আল্লাহর ভয় থাকতে হবে। আর তোমাদের মাঝে সেই নারী সবচেয়ে নিকৃষ্ট যে পর্দাহীন হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এ স্বভাবের নারী আসলে মুনাফিক। এরা কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তবে আ‘সাম কাকের মতো ব্যতীত।

আ‘ছাম কাক বলা হয় এমন কাককে যে কাকের ঠোট ও নখর লাল রঙের হয়। এমন কাক বিরল। সহসাই চোখে পড়ে না। ঠিক এমনই বেপর্দা নারীরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, দুয়েকজন ব্যতীত।

৬/ পর্দাহীনতা সম্মান ও মর্যাদাকে বিনষ্ট করে দেয়।

রাসূলে কারিম [সা] বলেছেন, যে নারী আপন স্বামীর ঘর ছাড়া অন্য কোন স্থানে পর্দাহীন হয় সে তার ও আল্লাহর মাঝে যে পর্দা ছিল সে পর্দাকে ছিন্ন করলো। ফলে সে আল্লাহর নিকট অসম্মান ও লাঞ্ছনার পাত্র হলো।

৭/ পর্দাহীনতা নির্লজ্জতা। নারীকে আল্লাহ সতর হিসেবে বানিয়েছেন।

সতর অর্থ লুকায়িত বস্তু। সতর খুলে ফেলা নির্লজ্জতা। এর কারণে আল্লাহ নারাজ হন।

৮/ পর্দা না করা ইবলীসের কাজ।

ইবলীস শয়তান জান্নাতে হযরত আদম [আ]এর সাথে যে ন্যক্কারজনক আচরণ করেছিল তা ছিল ইবলীসের চরম নির্লজ্জতার বহির্প্রকাশ। আর পর্দা না-করা যেহেতু একটি নির্লজ্জতা। এজন্য এটা ইবলীসী কাজ।

৯/ পর্দা না-করা ইহুদীদের চাল-চলন।

নারী স্বাধীনতার স্লোগান শুনিয়ে নারীদেরকে ঘর থেকে বের করার পেছনে সবচেয়ে বড় ইন্ধনদাতা হলো ইহুদী জাতি। নবী কারিম [সা] এরশাদ করেছেন, পর্দার ব্যাপারে তোমরা সতর্ক থেকো। কারণ বনি ইসরাইলের মাঝে সবচেয়ে বড় ফিতনা সৃষ্টি হয়েছে নারীদের মাধ্যমে।

১০/ পর্দাহীনতা জাহিলি যুগের কর্ম।

এজন্য আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমরা জাহেলী যুগের মতো বেপর্দা হয়ে বের হয়ো না।{সুরা আহযাব:৩৩}

১১/ পর্দাহীনতা মানবিক অধপতনের লক্ষণ।

প্রকৃত বিবেকবান মানুষ কখনো পর্দা ছাড়তে পারে না। কারণ, কাপড়হীন হওয়া পশুদের স্বভাব। কারণ তারা কাপড় পরে না।

১২/ সর্বোপরি পর্দাহীনতা একটি মারাত্মক ধ্বংসাত্মক ব্যাধি।

ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, পর্দাহীনতার কারণে অগণিত মানুষ ধ্বংস হয়েছে ও প্রতিনিয়ত হচ্ছে। পর্দা না মানার কারণে কত পরিবার উজাড় হয়েছে তার হিসেব নেই।

সংগৃহীত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

11 − eight =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য