এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী আমজাদ আইয়ুব মির্জা নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার তিনি এ আহ্বান জানান।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মিরপুরের বাসিন্দা আমজাদ যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। আমজাদ আইয়ুব মির্জা জো বাইডেনকে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা এখন দ্বৈত উপনিবেশবাদের শিকার।
চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনেশিয়েটেভের কারণে এ অবস্থা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে চীন আমাদের ভূমি গিলগিট বালতিস্তানে ঢুকে পড়েছে। চীন ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বিষয়টিকে আরও চাপে ফেলেছে।
গিলগিট বালতিস্তানের প্রতিনিধি হয়ে তার সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বাইডেন তাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সমস্যা সমাধানে সহায়তা করার পক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত।
আইয়ুব মির্জা বলেন, আপনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন। আমরা পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট বালতিস্তানের জনগণ আহত এবং বিভক্ত মানুষ। আমি মনে করি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনার চেয়ে আর কোনো উপযুক্ত ব্যক্তি নেই, যিনি এ ক্ষত সরাতে সহায়তা করতে পারেন।
সোমবার বাইডেনের কাছে এ চিঠি লেখার একদিন পর তার ভিডিও বার্তা প্রকাশিত হয়েছে। ইসলামাবাদ যাতে এ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ও রাষ্ট্রবিহীন অভিনেতাদের সরিয়ে নেয় সে বিষয়ে বাইডেনকে পাকিস্তানের ওপর চাপ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চিঠিতে আইয়ুব মির্জা অভিযোগ করে আরও বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তরুণ জনগোষ্ঠী ও বিদেশিদের ট্রেনিং দেয়া হয়, যাতে তারা সন্ত্রাসী হতে পারে। আবার এসব সন্ত্রাসীকে ভারতীয় কাশ্মীরে গোলযোগ সৃষ্টির জন্য পাঠানো হয়।
আইয়ুব মির্জা অধিকৃত কাশ্মীরে বসবাসকারী মানুষের ওপর পাকিস্তানের অত্যাচারের তালিকাভুক্ত করেছিলেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে গুলি চালানোর সময়, এ অঞ্চলের নারীরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে অস্বীকার করে। এ সময় মানবাধিকারকর্মীদের অপহরণ করে হত্যা করারও অভিযোগ করা হয়।