কাশ্মীর ইস্যুতে নিষ্ক্রিয়তার জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্লক ওআইসির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সমালোচনা তাদের সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলেছিল।
ইসলামাবাদ, পাকিস্তান – কাশ্মীর ইস্যুতে উপসাগরীয় অঞ্চলের দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী মৈত্রীভূত দেশটিকে টানাপোড়নের হুমকি দেওয়ার কারণে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক চিড় ধরার পর পাকিস্তান এই সপ্তাহে পুনরায় সৌদি আরবের সাথে তার সম্পর্কের দৃঢ়টা নিশ্চিত করেছে।.
এই মাসের গোড়ার দিকে, পাকিস্তান সৌদি আরবের নেতৃত্বে পরিচালিত ৫৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলির একটি সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন’ (ওআইসি) – কে কাশ্মীর ইস্যুতে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছিল – পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মূল নীতিতে এ বিষয় এক হুমকি ছিল যে প্রয়োজনে তিনি একটি বিকল্প সংগঠন তৈরী করে ওআইসি গ্রুপটিকে উপেক্ষা করবেন।
“আমি আবারও ওআইসিকে শ্রদ্ধার সাথে বলছি যে এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাউন্সিলের একটি সভা আমাদের প্রত্যাশা,” পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ৪ঠা আগস্ট একটি টেলিভিশন সংবাদে বলেছেন।
“আপনি যদি এ আহ্বান করতে না পারেন তবে আমি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কাশ্মীরের বিষয়ে আমাদের সাথে দাঁড়াতে এবং নিপীড়িত কাশ্মীরিদের সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত ইসলামী দেশগুলির একটি বৈঠক আহ্বান করতে বাধ্য করব।”
গত আগস্টে ভারত-শাসিত কাশ্মীরকে তার বিশেষ মর্যাদায় আবার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির পূর্ব সিদ্ধান্ত রদ করার পক্ষে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন যে, মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের বিষয়ে সৌদি আরবের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই আহ্বানটি ধনুকের ওপরে তীর ছিল এবং যা উপসাগরীয় অঞ্চলের পররাষ্ট্রনীতি ভঙ্গুর করার পর্যায়ে ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইনস্টিটিউট অফ পিসের (ইউএসআইপি) সিনিয়র ফেলো এবং একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক সিরিল আলমেডা বলেছেন, “এই প্রস্তাব অসাধারণ এবং একেবারেই ধারণা বহির্ভূত ছিল।” “[বিশেষ করে পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে] এর আগে কেউ এরকম কিছু দেখেনি।”
প্রতিক্রিয়া হিসাবে, সৌদি আরব ২০১৮ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানকে দেয়া $১ বিলিয়ন ডলার সুদমুক্ত ঋণ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, যখন দেশটি সম্ভাব্য সার্বভৌমত্ব রক্ষাকল্পে খেলাপি ঋণ এড়াতে বৈদেশিক রিজার্ভের একান্ত প্রয়োজন ছিল।
এই রাজ্যটি এখনও অবধি পাকিস্তানকে তার তৈল আমদানি বিল পরিশোধ সহনীয় করতে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে যা একই প্যাকেজের অংশ ছিল তা পেছানোসহ তেল পরিশোধের স্কিম পুনঃনবায়ন করতে অস্বীকার করেছে।
১৭ই আগস্ট, পাকিস্তানের শক্তিশালী চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে সৌদি আরব প্রেরণ করা হয়েছিল যে ঐ সব আলোচনাকে এই সামরিক মুখপাত্র “রুটিন” বলে মন্তব্য করেছেন এবং “সামরিক-সামরিক” বিষয় নিয়েই তিনি আলোচনা করেছেন।
এর কয়েক দিন পরে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর একটি বিবৃতি জারি করেছিল যা কাশ্মীরের বিষয়ে ওআইসির ভূমিকা প্রশংসনীয় এবং তা জ্বলজ্বল করছে এবং সোমবার, বিদেশমন্ত্রী কুরেশি এই দ্বন্দ্ব শুরুর বিষয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন তা প্রত্যাহার করে নিলেন।
তিনি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের বলেন, “ওআইসি কাশ্মীর নিয়ে অনেক অনুবন্ধ পাস করেছে এবং তাদের মধ্যে কোনও অস্পষ্টতা নেই। “তারা পরিষ্কার, তারা জোরালো এবং তারা পাকিস্তানের অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
“আমি আজ আপনাকে স্পষ্ট করে বলতে পারি: কাশ্মীরের বিষয়ে, [পাকিস্তানের সাথে] সৌদি আরবের কোনও মতপার্থক্য নেই।”
তো, তা হলে ঠিক কী হয়েছিল?
‘চরিত্রের সাথে যা খুবই অসামঞ্জস্য’
অর্থনৈতিক লড়াইয়ের সময়ে উপসাগরীয় রাজ্যের তেল সরবরাহ ও আর্থিক বিস্তারের উপর প্রাক্তন নির্ভরশীলদের সাথে পাকিস্তান ও সৌদি আরব ঐতিহাসিকভাবে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।
গত বছর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের পরিমাণ ছিল ১.৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যার মধ্যে ৭৪ শতাংশ সৌদি আরব থেকে পাকিস্তানি তেল আমদানি নিয়ে হয়। সব মিলিয়ে পাকিস্তান তার প্রায় এক চতুর্থাংশ তেল সৌদি আরব থেকে আমদানি করে।
সৌদি আরবে আড়াই লক্ষেরও বেশি পাকিস্তানি প্রবাসী শ্রমিকের আবাসস্থল, যাদের রেমিটেন্স প্রতিবছর পাকিস্তানের আগত বিদেশী রিজার্ভের একটি বড় অংশ হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত মাসে সৌদি আরবে বসবাসরত পাকিস্তানিরা $৮২১ মিলিয়ন ডলারের বেশি দেশে পাঠিয়েছিল, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, দেশে পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রায় ৩০ শতাংশ।
সৌদি আরবের অনুরোধে পাকিস্তান সেনা সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার সাথে দু’দেশেরও ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের পররাষ্ট্রনীতির সহযোগী মাদিহা আফজাল বলেছেন, “সৌদি আরবের পক্ষে পাকিস্তানের সাথে সামরিক অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ।”
“এবং পাকিস্তানের জনসংখ্যা সৌদি আরবের ধর্মের প্রতি একটি অনুগত শক্তি এবং এর প্রভাবের একটি জায়গা নিয়ে আছে – পাকিস্তান বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ, এটি সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি, এবং সৌদি আরব এটিকে তার প্রভাবে বিস্তৃতভাবে চায়।”
ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে আফজাল বলেছেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশির প্রাথমিক মন্তব্য “পাকিস্তানের পক্ষে খুব একটা চরিত্রের বাইরে” ছিল।
তদুপরি, ওআইসিকে কোনঠাসা করে বৈঠক করার হুমকি “মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের সৌদি আরবের দৃষ্টিভঙ্গি, এবং অবস্থানকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ করবে”।
এই প্রথমবার নয় পাকিস্তান বিকল্প ব্লকের সম্ভাবনা দেখিয়েছে। ডিসেম্বরে, মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করেছিল, যে দল ওআইসির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল এবং মালয়েশিয়া, সৌদি প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্ক এবং পাকিস্তান এর উদ্যোগ নিয়েছিল।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খান চূড়ান্ত মুহূর্তে শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত হয়েছিলেন এবং পরবর্তী মন্তব্যে তার সিদ্ধান্তকে এই গ্রুপের প্রতি সৌদি আপত্তি বলে দায়ী করেছিলেন।
১৯৪৭ সালে উভয় দেশ ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে পাকিস্তানের পূর্ব প্রতিবেশী ভারতের সাথে তিনবার সংগঠিত ভাবে যুদ্ধ হয়েছে, তাই সৌদি আরব ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়েও পাকিস্তান সব সময়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে।
২০১৯ সালে ইসলামাবাদ সফরে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সাথে ২০ বিলিয়ন ডলার প্রকল্পগুলিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এমবিএস-এর পরপরই নয়াদিল্লি সফরে বলা হয়েছে যে তিনি পাকিস্তানের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সৌদি-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বর্তমানে দাঁড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, এমবিএসের অধীনে, আরও একটি সক্রিয় সৌদি আরব বৈদেশিক নীতি ইরান, তুরস্ক এবং কাতারের মতো দেশগুলিকে উতপ্ত করে সম্পর্ক ক্রমশ কমাতে শুরু করেছে।
কিন্তু পাকিস্তান কি ঐতিহাসিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বন্ধু থেকে দূরে থাকতে পারে?
“কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ক অধ্যয়নরত সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একাডেমিক ও সাংবাদিক জেমস ডারসি বলেন,” বিষয়টি সত্যই মুসলিম বিশ্বের সৌদি নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। “এর অর্থ হবে পাকিস্তান তুরস্ক, ইরান, কাতার এবং সম্ভবত মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার সাথে জোটবদ্ধ, যার মধ্যে তিনটি সৌদি প্রতিদ্বন্দ্বী।”
ডোরসি বলেছেন, তবে বর্তমানের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেই মূল উদ্দেশ্য কার্যকর করার সম্ভাবনা কম।
“পাকিস্তানের জ্বালানী সরবরাহ, অর্থ ও বিনিয়োগের প্রয়োজন। সৌদিরা মনে হয় সৌদি তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে বিলম্বের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পাকিস্তানের অনুরোধের প্রতিক্রিয়া না করে তারা অর্থ ও সম্ভাব্য জ্বালানী সরবরাহকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।”
পাকিস্তানের এখনও সঙ্কোচিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ধারণা করা হচ্ছে – গত অর্থবছরে অর্থনীতি ০.৩৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, ৬০ বছরেরও বেশি সময়ে এই প্রথমবারের মতো এই সমস্যার যেখানে মুখোমুখি হচ্ছে – তবে কেন লড়াইটা বেছে নেওয়া?
সাংবাদিক আলমেদা বলেছেন, “এটি কিছুটা রহস্যের বিষয়।”
“স্থানীয় টিভিতে কুরেশির উত্সাহ পূর্ণ বক্তব্য প্রচলিত ধ্যান ধারণা থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দূরে নিয়ে গিয়েছিলেন – যে সম্ভবত [পাকিস্তানি] সামরিক বাহিনী তাকে সৌদি আরবের সাথে কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানের উদ্বেগ উত্থাপন করার দায়িত্ব দিয়েছিল, তবে তিনি যে বার্তা দিয়েছেন তা সরকারের ইংগিত এবং বার্তার বিপরীত ছিল। সংক্ষিপ্তভাবে তাকে দেওয়া হয়েছিল। ‘স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরে আস’।
এই সপ্তাহে কুরেশির মন্তব্য, এবং এর আগে একটি বিদেশী অফিসের (এফও) বিবৃতি, পূর্বের বক্তব্যের সাথে একদম প্রতিক্রিয়াশীল ভাবে প্রকাশ পেয়েছিল এবং বর্তমান বক্তব্য উত্তেজনা হ্রাসের ইঙ্গিত হিসাবে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
আফজাল বলেন, “আমি মনে করি যে [এফও] বক্তব্য, যে কোনও কিছুর চেয়েও বেশি ছিল, এমনকি পাকিস্তান [বিদেশমন্ত্রী] তার মন্তব্যে ইঙ্গিত করেছিল যে তারা পদক্ষেপ নেবে,” আফজাল বলেছেন। “এবং এটি প্রমান করে যে [সৌদি প্রতিক্রিয়ার পর – [পাকিস্তানী সেনাপ্রধানের] সফর সহ – পাকিস্তানকে কুরেশির মন্তব্যকে সূক্ষ্মভাবে ফিরে যেতে পরিচালিত করেছে।”
আফজাল বলেছেন, পাকিস্তানের ফিরে আসা এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে দেশটিতে “কোনও গুরুত্বপূর্ণ উপায়ে সৌদি আরব থেকে সরে যাওয়ার বিকল্প কিছু হাতে নেই”।
ডর্সি বিশ্বাস করেন যে জনসাধারণের চেয়ে বেসরকারিভাবে হলেও এই উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকবে।
“উভয় পক্ষই সম্ভবত উত্তেজনা কমিয়ে সম্পর্ক বাড়াতে চাইবে,” তিনি বলেছেন। “তবে সৌদিরা পিছিয়ে থাকলেও তা ক্ষত হিসাবে থেকে যাবে।”
আলমিডার মতে পাকিস্তান অন্যান্য বিদেশী মিত্রদের সাথে অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময়ে নির্ভরশীলতা বন্ধন গড়ে তুলেছে – বিশেষত চীন, যার সাথে এটি $৬০ বিলিয়ন ডলার চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিসি) তৈরি করছে – তবে এই সম্পর্কগুলির সম্ভাবনা একেবারে অন্তহীন নয়।
“বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পরিকল্পনায় চীনের উত্থান এবং পাকিস্তানের নির্ভরশীলতা পাকিস্তানকে নতুন কৌশলগত বিকল্প দিয়েছে”, তিনি বলেছেন। “সৌদিরা তাদের ঋনের কিছুটা অংশ ফেরত দাবি করার পরে চীন পাকিস্তানকে জরুরি তহবিল সরবরাহ করেছিল বলে মনে করা হয়।
“যদিও পাকিস্তান বা সৌদি উভয়ই সম্পর্কের মধ্যে ফাটল চাইবে না, পাকিস্তান সৌদি সহায়তার উপর বর্তমানে এতটা নির্ভরশীল নয় যেটা আগে কখনও হয়েছিল।”
আফজাল বলেন, সৌদি আরব বালির মধ্যে একটি স্পষ্ট রেখা টেনে দিয়েছে এবং পাকিস্তানকে তার উপরেই থাকতে হবে।
“কাশ্মীরের বিষয়ে ওআইসি এবং সৌদি আরবের কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রত্যাশা এখন হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় আছে, এবং ইসলামাবাদকে বাস্তবতার মুখোমুখি নিয়ে এনেছে,” তিনি বলেছিলেন। “এটি কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের হাতকে কিছুটা বেঁধে দিয়েছে।”
নতুন সীমানাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে শীঘ্রই তাদের পূর্ববর্তী মেয়াদ শেষে বন্ধুত্ব পুনরায় শুরু হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
“যতক্ষণ না পাকিস্তান সৌদি আরবকে (কাশ্মীরের বিষয়ে) চাপ দিতে না চায়, ততক্ষণ দু’দেশই এই দাপট কাটিয়ে উঠতে পারে।”
আসাদ হাশিম পাকিস্তানের আল জাজিরার ডিজিটাল সংবাদদাতা।
উত্স: আল জাজিরা নিউজ