কাশ্মীরের রাজনীতিবিদ সাকিনা আইতো প্রায়ই কাশ্মীরীদের বলতেন, ভারত তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে। ৪৮ বছর বয়সী ভারতপন্থী এ রাজনীতিবিদ এখন বলছেন, গেলো বছরের আগস্টে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটির স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পর সেই বিশ্বাস উঠে গেছে তার।
আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না মানুষের কাছে আবার কীভাবে যাব। আমাদের নিজেদের কাছেই কোনও জবাব নেই, তাহলে তাদের কী বলব’। আইতো সাবেক আঞ্চলিক সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার কাশ্মীরের আঞ্চলিক পার্লামেন্ট বাতিলের পাশাপাশি ভারতের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটিকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের আওতায় এনেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জনগণের অধিকার হরণের পদক্ষেপ।
মোদি সরকার তাদের নেয়া পরিকল্পনাকে ন্যায়সঙ্গত আখ্যা দিয়ে বলছে, এটি কাশ্মীরকে উন্নত অঞ্চলে পরিণত করবে। ১৯৮০ সাল থেকে কাশ্মীরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বিদ্রোহীরা।
‘আজ আমরা নিজ জন্মভূমিতেই ঘরের বাইরে যেতে পারি না। অথচ আমরাই সেই লোক যারা গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলাম’।
ওয়াহিদ পারা- পিডিপি নেতা
নয়াদিল্লির অনুগত স্থানীয় রাজনীতিবিদ যারা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, তারা এখন বিদ্রোহীদের বহু আক্রমণ ও হুমকির শিকার হচ্ছেন।
আইতোর বাবা ছিলেন কাশ্মীরের ভারতপন্থী রাজনীতিবিদ। ১৯৯৬ সালে তিনি বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন। তারপরই আইতোর রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ। ১৯৯৬ সালে তিনি কাশ্মীর পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। নানা ধরনের ঘাতপ্রতিঘাত মোকাবিলা করে জীবন বাঁচিয়ে রাখতে হচ্ছে তাকে।
গেলো এপ্রিলে কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা কুলগামে আইতোর বাড়িতে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। অঞ্চলটিতে বিদ্রোহীদের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। যারা ভারত থেকে স্বাধীনতা বা প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেদের ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করতে লড়াই করছে।
নয়াদিল্লির প্রতি আনুগত্য
আইতোর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টি, কাশ্মীরের প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দল, যা নয়াদিল্লির প্রতি অনুগত ছিল। তারপরও দলটির অন্যতম প্রধান শক্তি আবদুল্লাহ সহ শীর্ষ নেতাদের গেল বছর গ্রেফতার করা হয়।
গেলো বছরের আগস্ট থেকে কাশ্মীরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা। চলতি বছরের শুরুতে ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হলেও গতি খুবই ধীর।
ন্যাশনাল কনফারেন্সসহ অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলোর গায়ে যে দাগ লেগেছে, এতে কাশ্মীরের নতুন আঞ্চলিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ভারতপন্থী অনুসারীদের।
আইতো বলেন, ‘আমরা সবসময় মানুষকে অনুপ্রাণিত করতাম ও বলতাম, ভারতই আমাদের দেশ আর এটাই সবার জন্য ভালো। কিন্তু তরুণরা এখন আর সেই কথা শুনতে রাজি নয়’।
নয়া দিল্লি মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় ভারতপন্থী রাজনীতিবিদরা নিজেদের পরিত্যক্ত এবং দুর্বল ভাবছে । বিদ্রোহীদের হুমকির কারণে চুপচাপ হয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছেন অনেকে।
৪৮ বয়সী সাকিনা আইতো পুরানো রাজনৈতিক সমাবেশ এবং দলীয় কর্মকাণ্ডের নানা কথা তুলে ধরে বলেন ‘দুর্বিসহ অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগে বিদ্রোহীরা হামলা করেছে, সরকার আমাদের নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু এখন আমরা মাঝখানে আটকে গেছি’।
গত ৩০ বছর ধরে, কাশ্মীরে সশস্ত্র বিদ্রোহ আরও ক্ষীণ ও ক্ষয়িষ্ণু হওয়ায়, নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ভারতপন্থী রাজনীতিবিদদের আনুগত্যের বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও পাশাপাশি ভিক্ষা দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে।
‘রাজনৈতিক প্রতিটি প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সামনে এগোনোর কোনো পথ নেই’।
মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামি- সাবেক পার্লামেন্টের সদস্য।
পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) থেকে সবশেষ দু’জন সাবেক কাশ্মীর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। এ দলের নেতা ওয়াহিদ পারা বলেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরকে সামরিকীকরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়। যা পরবর্তীতে অঞ্চলটির জন্য কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারেনি। পিডিপি নেতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এক বছরের বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি।
১৯৪৭ সালের পর থেকে কাশ্মীরে সংঘাত শুরু হয়। তখন ভারতীয় উপমহাদেশ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য ভারত এবং মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রে ভাগ হয়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় যখন মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরের হিন্দু রাজা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তার কিছু শর্ত ছিল। যা ভারতীয় সংবিধানের অন্যতম ৩৭০ ধারায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ওয়াহিদ পারা আল জাজিরাকে বলেন, ‘কাশ্মীরে ৫ আগস্টের আগেও সমস্যা ছিল, এখনও আছে’।
৩০ বছর বয়সী পারা আরো বলেন, ‘আমাদের হতাশা এবং আফসোসের বিষয় হলো-সাধারণ মানুষকে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সরকার সেগুলো ছিনিয়ে নিয়েছে। সাংবিধানিক অধিকারের বিষয়গুলো আমরা তরুণদের সামনে তুলে ধরতাম। আমরা বলেছি, ভারতের সংবিধানে সমাধান রয়েছে। আজ এগুলো শুধু জনগণ বা বিদ্রোহীদের মাধ্যমেই নয়, সরকারের দিক থেকেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে’।
পারা বলেন, ‘বিদ্রোহীরা ভারতপন্থী বহু কাশ্মীরী রাজনীতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ভারতের অনুসারী হয়ে আমাদেরকে বহু ত্যাগ স্বীকার ও চড়ামূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা আমাদের সকল ত্যাগ, অবদান হাওয়ায় বিলীন করে দিল’ ।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে কারাগারে নিক্ষিপ্ত কয়েকশ রাজনীতিবিদদের মধ্যেও এই তরুণ নেতা ছিলেন। কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসনের রক্ষাকবচ ছিল ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা নিজ জন্মভূমিতেই ঘরের বাইরে যেতে পারি না। অথচ আমরাই সেই লোক যারা গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলাম’।
রাজনৈতিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন
বেশ কয়েকজন ভারতপন্থী কাশ্মীরী রাজনৈতিক আল জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করেছেন। নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তোলেন তারা।
‘আমরা সবসময় মানুষকে অনুপ্রাণিত করতাম ও বলতাম, ভারতই আমাদের দেশ আর এটাই সবার জন্য ভালো।
সাকিনা আইতো-সাবেক মন্ত্রী
কাশ্মীরের রাজনীতির প্রবীণ মুখ মোহাম্মদ ইউসূফ তারিগামি। কমিউনিস্ট পার্টির এ সদস্য ১৯৯৬ সাল থেকে কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় কুলগামের আসন থেকে পরপর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চলে স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে ভারতপন্থী রাজনীতিবিদদের যে রেখাটি আলাদা করে রেখেছিল, সেটি মুছে দিয়েছে নয়া দিল্লি’।
তারিগামি বলেন, ‘এখন আমরা একই পর্যায়ে। একই কাতারে। কোনো বিভেদ নেই। আমরা সবাই একটি কারাগারে বন্দি। সেটা সন্ত্রাসী হও, বিচ্ছিন্নতাবাদী হও বা মূলধারার-যে মতবাদেরই হওনা কেনো’।
তারিগামি কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘কাশ্মীর এখন একটি জেলখানা। যেখানে সবধরনের মত প্রকাশ অবরুদ্ধ। এখানে মত প্রকাশের কোনো জায়গা নেই। রাজনৈতিক প্রতিটি প্রক্রিয়া বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সামনে এগোনোর কোনো পথ নেই’।
কাশ্মীর ভিত্তিক রাজনীতি বিশ্লেষক আইজাজ আশরাফ আল জাজিরাকে বলেন, কাশ্মীরের রাজনীতি সবসময় নয়াদিল্লির একটি ” সুদূরপ্রসারী কাঠামো” দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে ।
নয়াদিল্লির সেই কাঠামোই বাস্তবায়ন করেছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলো। ১৯৪৭’র পরে নয়াদিল্লির প্রধান লক্ষ্য ছিল কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জাতীয় অখণ্ডতার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে।, বলেন আশরাফ।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে শুধু কাশ্মীরের মর্যাদা পরিবর্তন হয়নি, বরং ওই অঞ্চলটির স্বায়ত্বশাসন বাতিলের মাধ্যমে সেখানকার রাজনৈতিক কাঠামোও পাল্টে গেছে’।
‘নয়াদিল্লি স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা করেনি। এ বিষয়ে তারা একটুও মাথা ঘামায়নি। তারা শুধু দেখিয়েছে তাদের ছাড়াই তারা এটি করতে পারে্ এবং এখানে কারো কোনো হস্তক্ষেপ নেই।’ বলেন আশরাফ।
আশরাফ নয়াদিল্লির কঠোর নিয়ন্ত্রণের একটি মূল্যায়ন উত্থাপন করেছেন। যা নির্বাচনে ভোটারদের কম ভোটদানের প্রতিফলনের একটি চিত্র তুলে ধরেছে।
গত অক্টোবরে, স্থানীয় কাউন্সিলের নির্বাচনে মাত্র চার শতাংশের কিছু বেশি লোক ভোট দিতে এসেছিল। বেশিরভাগ ভারতপন্থী দল নির্বাচন বয়কট করেছিল।
অন্তনাগ আসনে ৮ দশমিক ৭৫ দশমিক শতাংশ, শ্রীনগরে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বারামুল্লায় ৩৫ শতংশ ভোট পড়ে। যেগুলো মুসলিম অধ্যুষিত জনপদ। কিন্তু হিন্দু অধ্যুষিত জম্মু অঞ্চলে ভোট প্রদানের হার ছিল ৭০ শতাংশের বেশি।
মঙ্গলবার ভারত জানায়, এই অঞ্চলে তৃণমূলের গণতন্ত্র পুনরজ্জীবিত হয়েছে । অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচলেট গণমাধ্যমকর্মীদের ও জনগণের অংশগ্রহণের জন্য জায়গাটিকে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করার জন্য নয়াদিল্লির সমালোচনা করে।
প্রতারণার অভিযোগ নয়াদিল্লির উপর
আল জাজিরার সঙ্গে আলাপকালে কাশ্মীরের ভারতপন্থী রাজনীতিবিদদের প্রতি কিছুটা সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন কাশ্মীরিরা।
দানিশ আহমেদ নামে কাশ্মীরের এক তরুণ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যা হয়েছে তাতে কাঁদছেন শুধু রাজনীতিবিদরা। কিন্তু সাধারণ কাশ্মীরিদের অবস্থা সবসময়ই একই। তারা সবসময়ই নিপীড়িত’।
শ্রীনগরের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘এই রাজনীতিবিদরাই বছরের পর বছর আমাদের সঙ্গে অন্যায়, অবিচার করেছেন। তাদের কাছে আমাদের কখনো কোনো আশা-প্রত্যাশা কিছুই ছিল না’।
৫৫ বছর বয়সী ন্যাশনাল কনফারেন্সের সমর্থক সিতারা নাজির বলেন, ‘রাজনীবিদের নিয়ে তিনি হতাশ। তিনি বলেন, আমরা যাদের সমর্থন করেছি তারাই আমাদের ক্ষতি করেছে। আজ আমরা নিজ জন্মভূমিতেই ঘরের বাইরে যেতে পারি না। আমরা আশা করেছিলাম, তাদের হাত ধরে আমাদের সন্তানরা চাকরি পাবে, জীবনে নতুন স্বপ্নের দিশা পাবে। আজকে আমরা প্রতারণার শিকার। কখনোই তাদের সমর্থন করবো না’।
কাশ্মীর বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা নয়াদিল্লি সরকারের নেয়া কঠোর পদক্ষেপ হিতে বিপরীত হতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক রাধা কুমার বলেন, ‘এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অনেকটা বিবর্ণ।’ সাবেক এ অধ্যাপক ২০১০-২০১১ সালে কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের আলোচনা শুরুর মধ্যস্থতায় যে তিনজনকে নিযুক্ত করা হয়েছিল, তাদের একজন।
‘বৈধ রাজনৈতিক কার্যকলাপ না থাকলে গণতন্ত্র কাজ করে কীভাবে? বাস্তবে এর অর্থ গণতন্ত্র নয়। এটি খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি।’ বলেন রাধা কুমার।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই বিপজ্জনক পদক্ষেপ। রাজনৈতিক সুযোগ হরণের ফলে উগ্রবাদী চিন্তাভাবনা, মতাদর্শ বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা সেখানে আরও আগ্রাসন ও বিদ্রোহ দেখতে পাচ্ছি। সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলোর ফল বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি কাশ্মীরের পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিয়ে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে জানায়, ‘কাশ্মীরী রাজনীতিবিদদের দোকান তারা উচ্ছেদ করেছে।’
জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির মুখপাত্র অশোক কৌল বলেন, ‘জনগণের জন্য তারা কী করেছেন? তারা শুধু নিজেদের ওপরে তোলার জন্যই কাজ করেছেন’।
গেল বছর থেকে কাশ্মীরকে অচল করে রেখেছে নয়াদিল্লি। অনুগত রাজনীতিবিদরাই এখন অবহেলার শিকার। বিদ্রোহীরা স্থানীয় রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তাদের সুরক্ষায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাষ্ট্র, সেখান থেকে সরে এসেছে মোদি সরকার।
নানা দিক থেকে ধারণা করা হচ্ছে তারা এখন গভীর সমুদ্রের মাঝখানে আটকা পড়েছে। আইতো বলেন, ‘নয়াদিল্লি যা করেছে ফলে রাজনীতিতে আমি কোনো ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছি না। জনগণের কাছে যদি যাই তাহলে তাদের কি বলবো? মোদি সরকার সবকিছু সমূলে ধ্বংস করে দিয়েছে।’