প্রথম অনুচ্ছেদ – আশা আকাঙ্ক্ষা ও উদ্বেগ প্রসঙ্গ
৫২৭৪-[৭] ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার শরীরের এক অংশ ধরে বললেন : পৃথিবীতে অপরিচিত মুসাফির অথবা পথযাত্রীর মতো জীবন-যাপন করো। আর প্রতিনিয়ত নিজেকে কবরবাসী মনে করো। (বুখারী)
সহীহ বুখারী ৬৪১৬, তিরমিযী ২৩৩৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১১৫৭, ইবনু মাজাহ ৪১১৪, সহীহুল জামি ৮৭০৮, সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব ৩৩৪১, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১১৫৭, মুসনাদে আহমাদ ৪৭৬৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৯৮, শুআবুল ঈমান ১০২৪৬, আল মুজামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১২, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৭৪৭।
ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ (সা.) ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার-এর শরীরে কোন একটি অংশ ধরে বলছিলেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন। মুল্লা আলী আল ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, শরীরে বা কাঁধে হাত রাখার হিকমত হলো তাকে নিকটে টেনে নেয়া এবং নিজের দিকে মনোনিবেশ করানো, যাতে তার কথাগুলো ভালোভাবে উপলব্ধি করে নিতে পারে।
অতঃপর তিনি তাকে বললেন, তুমি দুনিয়ায় এভাবে থাকো যেন একজন অপরিচিত ব্যক্তি অথবা পথিক। এটা এজন্য যে, দুনিয়া হলো চলাচলের স্থান এবং (কোন নদী) পার হওয়ার সেতুসদৃশ।
অতএব মু’মিনের উচিত ‘ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে নিমগ্ন থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, মাস ও বছরগুলো পাড়ি দিয়ে প্রকৃত দেশ ও আবাসভূমি জান্নাতে পৌছার প্রতি উদ্গ্রীব থাকা।
রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে আরো বলেন, তুমি তোমাকে কবরবাসীদের মধ্যে গণনা কর। অর্থাৎ তুমি তোমাকে কবরের অভিযাত্রী অথবা কবরে বসবাসকারী হিসেবে ধরে নাও। এটা যেন ঐ বাক্যের মতো : (مُو تُوا قَبْلَ أَنْ تَمُو تُوا،وَحَاسِبُوا أَنْفُسَكُمْ قَبْلَ أَنْ تُحَاسَبُوا) তোমার মরণের আগেই তুমি মরে যাও এবং তোমার হিসাব গ্রহণের পূর্বেই নিজের হিসাব নিজে গ্রহণ কর। (মিরকাতুল মাফাতীহ; লু’আহ্ ৮ম খণ্ড, ৪৮৯ পৃ.)।