عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الدُّعَاءَ يَنْفَعُ مِمَّا نَزَلَ وَمِمَّا لَمْ يَنْزِلْ فَعَلَيْكُمْ عِبَادَ اللَّهِ بِالدُّعَاءِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে দু’আ ঐ সব কিছুর জন্যই কল্যাণকামী যা সংঘটিত হয়েছে এবং যা এখনো সংঘটিত হয়নি। সুতরাং হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা দু’আ করাকে নিজের প্রতি খুবই জরুরী মনে করবে বা যত্নবান হবে। (তিরমিযী)[1]
[1] হাসান লিগয়রিহী : তিরমিযী ৩৫৪৭, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮১৫, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৩৪, সহীহ আল জামি‘ ৩৪০৯।
ব্যাখ্যা: (إِنَّ الدُّعَاءَ يَنْفَعُ مِمَّا نَزَلَ) অর্থাৎ- যে কোন ধরনের বালা মুসীবাতে দু‘আ করলে তা দূরীভূত হয়ে যায় সেটা যদি তাকবদীরে মু‘আল্লাক্বের সাথে সংশিস্নষ্ট বিষয় হয়ে থাকে আর যদি তা তাকদীরে মুবরাম হয় তাহলে এ বিপদে ধৈর্যধারণ করার শক্তি আল্লাহ দিয়ে দেন, ফলে বিপদটি বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য সহ্য করা সহজ হয়ে যায়।
(وَمِمَّا لَمْ يَنْزِلْ) অর্থাৎ- ভবিষ্যতের বিপদও দু‘আর প্রেক্ষিতে দূর হতে পারে এভাবে যে, হয়তো মহান আল্লাহ তার থেকে বিপদটি সরিয়ে নিবেন বা তাকে ঐ বিপদ আসার আগে এমন বিশেষ ক্ষমতা নিজের পক্ষ থেকে দান করবেন যাতে বিপদে সে সবর করতে সক্ষম হবে।
(فَعَلَيْكُمْ) অর্থাৎ- হে আল্লাহর বান্দাগণ! দু‘আর অবস্থা যখন এরূপ যে, তা বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিপদ-আপদ দূর করতে সক্ষম তখন তোমরা সকলেই দু‘আ কর। কেননা দু‘আ তো ‘ইবাদাতেরই একটি অংশ।
হাদীসটি ইমাম তিরমিযী তার দা‘ওয়াত অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সানাদে ‘আবদুর রহমান বিন আবূ বাকর আল কুরাশী রয়েছেন যিনি সমালোচিত রাবীর অন্তর্গত।
হাফেয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেছেন, হাদীসটির সানাদে لِيْنٌ তথা দুর্বলতা বিরাজমান।