প্রেক্ষাপটের বদল। এরই সঙ্গে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে আমেরিকায়। তবে জো বাইডেনকে হোয়াইট হাউজে দেখতে গেলে অপেক্ষা করতে হতে পারে বিশ্বাবাসীকে। ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হতে এখনও ২ মাস বাকি। তার আগে বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও হোয়াইট হাউজে তার নো এন্ট্রি। কিন্তু যে দিনই তিনি হোয়াইট হাউস মুখো হবেন ঠিক সেদিন থেকেই ট্রাম্প অনুমোদিত ও প্রণীত উদ্ভট, বিভেদময় এবং বিদ্বেষী নিয়ম-কানুন ঝেড়ে ফেলে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
ক্ষমতাসীন হয়েই প্রথমত, ট্রাম্প সরকারের জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেবেন বাইডেন। ফলে, ১৩ দেশের নাগরিক, যার মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারা আমেরিকায় পুনরায় ভ্রমণ করার সুবিধা পাবেন। এর আগে ২০১৭ সালে ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার সই করে সাত মুসলিম দেশের পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন এই বলে যে, তারা উগ্রপন্থী বা সন্ত্রাসী।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা খুব সহজেই প্রত্যাহার করে নিতে পারবেন বাইডেন। কারণ, ওই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারের মাধ্যমে। তবে রক্ষণশীলদের মামলা এই প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটাতে পারে।
অক্টোবর মাসে বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রাজনীতিবিদদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করে আইনি পথে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদকে ও অপরাধ দমন করবেন। বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করে সমাজ থেকে ঘৃণা নামক বিষকে ঝেড়ে ফেলব। আপনাদের অবদান ও বুদ্ধি মোতাবেক কাজ করব। মুসলিম মার্কিনিরা সব ক্ষেত্রেই সুযোগ পাবে।’
আরো বলেন, ‘একদিন আমি ট্রাম্পের বেআইনি মুসলিম নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করব।’
বলা হয়, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মূলত মুসলিম এবং কালো ও বাদামি চামড়াধারীদের বিরুদ্ধে জোর প্রচার চালিয়ে ওই সম্প্রদায়ের ওপর দমনমূলক নীতি প্রয়োগ করা শুরু করেন ডন।
আমেরিকার সর্ববৃহৎ মুসলিম নাগরিক অধিকার সংগঠন ‘দ্য কাউন্সিল অফ আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস’ বাইডেনকে তার দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সংগঠনের জাতীয় পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনেই মুসলিম নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সমস্ত সরকারি অফিসে বিদ্বেষমুক্ত করার পক্ষে রায় দিয়েছেন।’