পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মুসলমানদের অধিকার সংগঠনগুলোর নেতৃস্থানীয়দের। তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন সরকারের অবস্থান ও ভূমিকার প্রতিবাদ হিসেবে সংগঠনগুলো ওই অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়, বাইডেনের ভার্চ্যুয়াল ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রোববার। তবে মুসলিম সংগঠনগুলো বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বাইডেন প্রশাসন ‘সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছে’। এই অভিযোগে সংগঠনগুলো ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সাম্প্রতিকতম এই সংঘাতে গত এক সপ্তাহে অন্তত ১৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৫৫ জনই শিশু। এই পরিস্থিতির মধ্যেই গত শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বাইডেন। এ সময় তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, হামাসের রকেট থেকে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি মার্কিন সরকারের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, ‘আমরা বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারছি না। কারণ, তারা আক্ষরিক অর্থেই গাজায় ইসরায়েল সরকারের বোমাবর্ষণের মাধ্যমে নির্বিচার নিরপরাধ নারী-পুরুষ ও শিশু হত্যায় সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছে। এই অন্যায় রোধে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রাজনৈতিক শক্তি ও নৈতিক কর্তৃত্ব রয়েছে। আমরা তাঁর প্রতি নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি, নিপীড়কের পাশে নয়।’
আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন নামের আরেকটি সংগঠনও বাইডেন প্রশাসনের ঈদ উদযাপনের অনুষ্ঠান বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনের বিনিময়ে হোয়াইট হাউসকে পবিত্র ঈদ উদযাপনের বিষয়টিকে রাজনৈতিক অভিলাষ হিসেবে ব্যবহার করতে দেব না আমরা।
এদিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জার্মানির বার্লিন, ফ্রান্সের প্যারিস, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন, নিউইয়র্কসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিক্ষোভ চলছে।