Friday, December 6, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরবাবার নামে মিলের খেসারত: নির্দোষ আরমানের ৫ বছর কারাভোগ

বাবার নামে মিলের খেসারত: নির্দোষ আরমানের ৫ বছর কারাভোগ

বিনা অপরাধে ৫ বছর কারাগারে বন্দী থাকা রাজধানীর পল্লবীর বেনারসি কারিগর মো. আরমানকে হাইকোর্টের নির্দেশে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে কাশিমপুর-২ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে পরিবারের লোকজন বাড়ি নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার আব্দুল জলিল।

২০০৫ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে এক মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আসামিদের দেয়া তথ্যে তাদের সহযোগীদের ধরতে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম সিদ্দিকী পল্লবীর বিহারি ক্যাম্পের এক বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিন বিহারি ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে পল্লবী থানায় মামলা হয়। পরে ২০০৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শাহাবুদ্দিনসহ গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০০৭ সালের ৫ মার্চ জামিনে মুক্ত হন শাহাবুদ্দিন।

২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন আবেদন করেন তিনি। এতে জামিন মেলে তার। এরপর ফেরারি হয়ে যান শাহাবুদ্দিন। তার দুই সহযোগী থেকে যান কারাগারে।

২০১২ সালের ১ অক্টোবর মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার দুই সহযোগীর প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ঢাকার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফারুক আহম্মদ। এরপর পলাতক শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পল্লবীর ১৩ হাউস, ব্লক-এ, সেকশন ১০ নম্বর এলাকায় অভিযান চালায় পল্লবী থানার পুলিশ। এ অভিযানে ছিলেন তৎকালীন ওই থানার এসআই রাসেল, যিনি বর্তমানে মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত। আরমান বাসায় নাশতা সেরে চা পানের জন্য পাশের একটি চায়ের দোকানে যান। অভিযানকারীরা সেখান থেকে শাহাবুদ্দিনের বাবার নামের সাথে মিল থাকায় আরমানকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে আরমানকে কাশিমপুর কারাগার-২ এ রাখা হয়।

আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লবের এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আরমানকে মুক্তি দেয়াসহ তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশ দেন।

বিনা অপরাধে জেলা খাটার বিষয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন আরমান ও তার স্বজনরা।

আমারসংবাদ/জেআই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

five × one =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য