Saturday, January 25, 2025
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমযুগ জিজ্ঞাসাবায়াত প্রসঙ্গ

বায়াত প্রসঙ্গ

বিখ্যাত মুহাদ্দিস এবং ফাক্বীহ শাইখ আহমাদ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া আন-নাজমী (রহিমাহুল্লহ) #বায়াত প্রসংগে:

মুক্বীম অবস্থায় আমীর মনোনয়ন করা প্রসঙ্গে শাইখ আহমাদ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া আন-নাজমী (রহিমাহুল্লহ) বলেন,

হাদিসে যে আমীর নিযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে, তা সফরের সাথে নির্দিষ্ট। মুক্বীম অবস্থায় রাষ্ট্রের মুসলিম শাসকই সবার জন্য যথেষ্ট। অন্য কোনো আমীর নিযুক্ত করা বৈধ নয়  । কারণ, সেক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব ও ফাসাদ সৃষ্টি হবে। অতএব, যে ব্যক্তি বলবে, মুসলিম শাসক ছাড়া মুক্বীম অবস্থায় অন্য কোনো আমীর নিযুক্ত করা শরী‘আত সম্মত, তাকে তার পক্ষে দলিল পেশ করতে হবে। আর একথা সত্য যে, সে কস্মিনকালেও তার পক্ষের দলীল পাবে না ।[1]

অন্যত্র তিনি বলেন, রসূল ﷺ কর্তৃক আমীর নিযুক্তের অনুমতির বিষয়টি সফরের সাথে নির্দিষ্ট। যে ব্যক্তি বলবে, সফরে আমীর নিযুক্ত করা বৈধ হলে মুক্বীম অবস্থায় আমীর নিযু্ক্ত করাও বৈধ,

সে মূর্খ; সে শরী‘আতের কিছুই জানে না । তার উচিৎ, মূর্খতা বাইরে প্রকাশ না করে লুকানোর চেষ্টা করা।[2]

বায়‘আত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বায়‘আত হচ্ছে মুসলিম শাসকের অধিকার। সুতরাং শাসক ছাড়া অন্য কেউ কারো নিকট থেকে বায়‘আত গ্রহণ করল, সে দ্বীনের মধ্যে নিন্দিত

বিদ‘আত সৃষ্টি করল। আমরা যদি হক্কানী আলিমগণের জীবনীর দিকে দৃষ্টিপাত করি, তাহলে সহজেই বুঝতে পারব, তাঁরা দা‘ওয়াতী কাজ করতে গিয়ে কারো কাছ থেকে আনুগত্যের বায়‘আত গ্রহণ করেন নি।

️ সালাফি মানহাজের উদাহরণ পাওয়া যায় না এমনঃ
🔴 শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব হিজরী ১২ শতাব্দীতে নাজদে দা‘ওয়াতী কাজ করেছেন। কিন্তু কারো কাছ থেকে আনুগত্যের বায়‘আত গ্রহণ করেন নি।

 তেমনিভাবে শাইখ আব্দুল্লহ ইবনু মুহাম্মাদ আল-ক্বার‘আবী 🇸🇦 সাঊদী আরবের দক্ষিণাঞ্চলে দা‘ওয়াতী কাজ করেছেন। তিনিও কারো থেকে বায়‘আত নেন নি।

আমরা যদি আরেকটু পূর্বে ফিরে যায়, তাহলে লক্ষ্য করব, শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়াও কারো কাছ থেকে বায়‘আত গ্রহণ করেন নি ।

অথচ মহান আল্লহ তাঁদের সকলের দা‘ওয়াতে বরকত দান করেছেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁরাই সালাফী দা‘ওয়াতের ধারক ও বাহক। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিদ‘আতীরা বিদ‘আত প্রচার করা থেকে বিরত হয় নি।[3]

️ বিখ্যাত মুহাদ্দিস এবং ফাক্বীহ শাইখ আহমাদ ইবনু ইয়াহ্‌ইয়া আন-নাজমী (রহিমাহুল্লহ)

[1] আহমাদ আন-নাজমী, আল-মাওরেদুল আযবুয-যালাল ফীমা উনতুক্বিদা আলা বা‘যিল মানাহিজিদ-দা‘বিইয়াহ মিনাল আক্বাইদি ওয়াল আ‘মাল, পৃ: ২০৫।

[2] আহমাদ আন-নাজমী, আল-ফাতাওয়া আল-জালিইয়াহ আনিল মানাহিজ আদ-দা‘বিইয়াহ, [ফুরকান লাইব্রেরী, আজমান, দ্বিতীয় প্রকাশ: ১৪২১ হি:], পৃষ্ঠা: ৪৪-৫১।

[3] আল-মাওরেদুল আযবুয-যালাল ফীমা উনতুক্বিদা আলা বা‘যিল মানাহিজিদ-দা‘বিইয়াহ মিনাল আক্বাইদি ওয়াল আ‘মাল, পৃ: ২০৫। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

9 + eleven =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য