Saturday, January 25, 2025
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবরভারতীয় মুসলমানরা দেশের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের অংশ

ভারতীয় মুসলমানরা দেশের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের অংশ

ওয়েবিনারে এম জে আকবর

ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর বলেছেন, আমরা ভারতের মুসলমানরা দেশের অতীতের অপরিহার্য অংশ, বর্তমানের সম্মানীয় অংশ আর ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বনামখ্যাত এই সাংবাদিক সোমবার অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক তারিক মনসুর। অন্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাটারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড লেলিভেল্ড।

এম জে আকবর বলেন, মুসলমানরা তিন ভাবে ভারতের অংশ- এ অনুভব দিয়েই তারা যুগ যুগ ধরে দেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছে। তিনি উপলব্ধিটা জাগরূক রেখে দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় থাকার জন্য ভারতীয় মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভিকটিমের মতো আচরণ করার মানসিকতা মুসলমানদের। আমরা তো ভিকটিম নই। গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান আমাদের দিয়েছে এক ঐতিহাসিক সুযোগ। বিশ্বের বুকে পরিবর্তন সাধনের কাজে সত্যিকারের নেতৃত্বদানের সুযোগ।

এম জে আকবর বলেন, পুরোপুরি না বুঝে আমরা একটা কথা আওড়াই, বলি মুসলমানরা সংখ্যালঘু। এর মানে কী? মুঘলরা ক্ষমতায় থাকাকালেও এ রকম বলা হতো। কিন্তু তারা তো সংখ্যালঘু নয়। নৃতাত্ত্বিকভাবে ঠিক। কিন্তু এ যুগে যা বোঝানো হয় তা নয়। সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরু হওয়াটা সংখ্যার কাজ নয়- ওটা ক্ষমতায়নের কাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি অনুভব করি যে আমরা ক্ষমতায়িত তাহলে আমরা সংখ্যালঘু এমন বোধ হবে না।’

এম জে আকবর বলেন, দিল্লি দেখতে আসা লোকেরা যখন জানায় তারা ভারতকে জানতে চায় তখন আমি তাদের বলি, পুরনো দিল্লি যাও। দেখবে সেখানে ভোর হচ্ছে আজানের আওয়াজে, একটু পরই শুনবে হনুমান মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি। তার পরই গুরুদোয়ারায় গ্রন্থসাহিব পাঠের শব্দ আসবে। রবিবারে বাজছে গির্জায় ঘণ্টা। এটাই আমাদের দেশ।

প্রফেসর আলী আহমদ নকভি মন্তব্য করেছিলেন ‘ভারতে দুটি তাজমহল রয়েছে। একটি আগ্রায়, অন্যটি আলীগড়ে।’ আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বকে ইঙ্গিত করেন নকভি। তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এম জে আকবর বলেন, তাজমহল একটা সমাধি। আলীগড় ভার্সিটি জীবন্ত প্রতিষ্ঠান। স্যার সৈয়দ আহমদ যাকে বলতেন ভবিষ্যতের জীবন। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা যায় আলীগড় মডার্ন মুসলিম ইউনিভার্সিটি।

মুসলমানদের নস্টালজিয়ার কুশায়া থেকে বের করে এনে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে চলার সংগতিদানের জন্য স্যার সৈয়দ আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন ১৯২০ সালে। সে ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে এম জে আকবর বলেন, স্যার সৈয়দ সব সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করতে চেয়েছেন। তাঁর বাণী ছিল মুসলমানদের পাপের জন্য ইসলামকে দোষারোপ কোরো না। মুসলমানরা তোমরা যে অনাচার কর সে জন্য অন্যদের দোষ দিও না। তিনি আরও বলে গেছেন, ‘হিন্দু আর মুসলমানের রক্তের রং একই রকম। তারা একই বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়, উভয়েই পান করে গঙ্গার পানি।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

six + nineteen =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য