••• মাসজিদের ভেতরে নিজের জন্য স্হান নির্ধারণ করা প্রসঙ্গে •••
*** মহানবী মুহাম্মদ সা: বলেছেন “
মাসজিদের ভেতরে সালাত আদায়ের জন্য উটের ন্যায় কোন স্হানকে সুনির্দিষ্ট করে রেখোনা ।”
আবুদাউদ ৮৬২
ইব্নে মাজা ১৪২৯
শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী রহ: ছহীহ বলেছেন ।
*** এ আমলটি খুবই দৃশ্যমান বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে । গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্রই দেখা যায় যে, কিছু বৃদ্ধ মুসল্লী বা প্রতাপশালী ব্যক্তিগণ মসজিদের ভেতরে নিজেদের জন্য পূর্ব থেকে জায়নামাজ বিছিয়ে রেখে জায়গা দখল করে রাখেন । তিনি সবসময় ঐ জায়গাটিতে সালাত আদায় করেন । বিশেষ করে কর্ণারের জায়গাগুলো সবসময়ই ফিলআপ থাকে ! মাহে রমজানে শেষের ১০ দিনে ইহা মারাত্নক আঁকার ধারণ করে ! মহানবী সা:’র এই নিষেধাজ্ঞার বাণী না জানা থাকার দরুণ এসব লোকেরা এ আমলটিকে মজবুত সহকারে গ্রহণ করেছেন ! অধিকাংশ মসজিদের ইমামগণ কুরআন ও হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞ বললে ভুল হবেনা । ফলে তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে কখনো চিন্তাও করেননি ! জুমা’র খোৎবার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করা আলেম সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য । হয়ত কখনো কোন ইমাম / আলেম সাহেব রাজনৈতিক কারণে বা ধনী লোকদের ভয়ে বা চাকরী হারানোর আশংকায় সঠিক কথা বলা থেকেও বিরত থাকেন ! তা’ ছাড়া সুস্পস্ট দলীল সহকারে বয়ান করার মতো ক’জন ইমাম পাবেন ?
*** একজন মুয়াজ্জিন ইমামের পেছনেই থাকবেন । ইহা এ হাদিসের আওতায় পড়বেনা । কেননা মুয়াজ্জিন সাহেবের দায়িত্ব রয়েছে । তিনি ইক্বামত দেবেন এবং ইমামের সুবিধা/ অসুবিধায় সাহায্য করবেন । তিনি ইমাম সাহেবের পেছনের জায়গাটিতে না থাকলে, তা’ অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে ।
*** শাসক/ নেতা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বডি গার্ড সহ পুরো অংশ জুড়ে জায়গা দখল করলেও তাও যৌক্তিক ।
*** মক্কা / মদীনায় ইমাম সাহেবের পেছনে সুনির্দিষ্ট কিছু মুসল্লী থাকেন । তাঁদের অধিকাংশই মুয়াজ্জিন ও ইমাম মনে হয় ।
*** বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে বড় পীর সাহেব / বড় হুজুরের জন্যেও সুনির্দিষ্ট জায়গা ধরে রাখতে দেখা যায় ! ইহাও গুনাহ । এ হাদিসের আওতায় পড়বে ।
*** বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে বড় হুজুরের পাশে সালাত আদায়ের সময়ে মুসল্লী নিজেকে অনেক বেশী না চীজ্ , দূর্বল মনে করে দাঁড়ান ! এমনভাবে দাঁড়ান যে, যেনো হুজুরের সংগে টাচ না হয় ! অন্যথায় বেয়াদবী হয়ে যাবে !!! মুসল্লীর মনযোগ সালাত অপেক্ষা হুজুরের দিকে অনেক বেশী !!! সালাম শেষ হওয়ার সংগে সংগেই মুসল্লী বিদ্যুৎ বেগে পেছনে চলে যান হুজুররে আরামের জন্য ! মনে হলো যেনো তিনি পুরো সালাত জুড়ে এ কাজটিই করার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন !!! বড় হুজুরও ভেজায় খুশি !!!! মনে মনে গর্ববোধ করছেন !!! আর আপনি যদি এ আমলটি না করেন, তা’হলে আপনি একজন বেয়াদব !!!!
لا حول و لا قوة إلاّ بالله
এ জাতীয় মুসল্লীর সালাত আদায় হয়েছে কিনা আমি জানিনা ! তাঁকে পুণরায় সালাত আদায় করতে হবে । সালাতের রুকন خشوع و خضوع না থাকার কারণে তাঁর সালাত বাতিল হতে পারে ! অন্যদিকে এই মানসিকতার বড় হুজুরের সালাত পরকালে হুজুরকে জান্নাত নাকি জাহান্নামে নিয়ে যাবে, আল্লাহই ভালো জানেন ।
MQM Saifullah Mehruzzaman