ফারুকের চার বছর বয়সে তার পিতা মোহসিন মিয়া মারা যান। সংসারের একমাত্র অভিভাবক হিসেবে তার মা সুরাইয়া বেগম এলাকায় ধানের মিলে বয়লারে কাজ করে সন্তানদের নিয়ে অতিকষ্টে জীবিকা নির্বাহ এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছেলে ফারুক মিয়ার লেখাপড়ার খরচ যুগিয়ে আসছিলেন। অনেক ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স পাশ করিয়েছেন। তার মা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুরাইয়া খাতুন (৪৮), দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বোন অজুফা আক্তার (২৫) ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বোন শিরিনা আক্তার (১৮)।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে তাদের বাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে জানা গেছে তাদের এই করুণ কাহিনি। বর্তমানে তার মাসহ তিন ভাইবোন সবাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। পরিবারের ভরণপোষণ পরিচালনা করার মতো তেমন কিছু নেই। বাড়িতে কয়েকটি গাছের লটকন ও কাঁঠাল বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে মাত্র দুই-তিন মাস সংসার চলে। বাকি মাসগুলো তার মা চালের মিলে বয়লারের কাজ করে চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফারুক মিয়ার পরিবার ফারুক মিয়াকে সরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠানে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একটি বেসরকারি এনজিওর মাধ্যমে ২০০৬ ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ফারুক মিয়ার চোখের ছানি অপারেশন করা হলেও জন্মগতভাবে ফারুক মিয়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তার চোখ ভালো হয়নি। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বৃত্তবানদের নিকট তাহাদের সাহায্য সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইত্তেফাক/এএএম