পাকিস্তানের সন্ত্রাস বিরোধী আদালত মুম্বাই হামলার মূলহোতা জাকিউর রহমান লাকভিকে তিন দফায় মোট ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। গত ২ জানুয়ারি মুম্বাই হামলার মূলহোতা লস্কর-ই-তাইয়েবার এই শীর্ষ কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করে ইমরান খান সরকার। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে আর্থিক মদদ দেওয়ার মামলা করা হয়েছে।
পাকিস্তান অধিকৃত পাঞ্জাবের সন্ত্রাসদমন দপ্তর জাকিউর রহমান লাকভির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে আর্থিক মদদ দেওয়ার মামলাটি করেছিল। অভিযোগ ছিল তিনি সন্ত্রাসের জন্য গঠিত তহবিলের অর্থে জঙ্গিদের স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালাতেন। এর ভিত্তিতে গত ২ জানুয়ারি লাহোর থেকে লাকভিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর আজ শুক্রবার এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।
প্রথম দফায় তাকে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, যদি আর্থিক জরিমানা দিতে না পারে, সেক্ষেত্রে অপরাধীকে প্রতি দফায় অতিরিক্ত আরও ছয় মাস করে জেলে থাকতে হবে। লাকভিকে ইতিমধ্যেই জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। আদালতে শুনানির সময়ে অবশ্য নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে বলে দাবি করে লাকভি। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগও তুলেছে সে।
কিছুদিন দিন আগেই লাকভিকে মাসে দেড় লক্ষ পাকিস্তানি মুদ্রা সহায়তার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তাকে আর্থিক সহায়তা দানের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ কমিটির কাছে আবেদন জানিয়েছিল ইমরান খানের সরকার। বলা হয়েছিল, এই টাকা তারা ওধুধপত্র, খাবার, পরিবহণ ও আইনজীবীর খরচ চালানোর জন্য দেওয়া হবে। লাকভির হয়ে পাকিস্তানের এই সালিশির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত।
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই লাকভি। ছয় বছর জেলে থাকার পর ২০১৫ সালে জামিনে ছাড়া পায় এই কমান্ডার। আল-কায়েদা এবং লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি ডিসপেনসারির আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জাকিউর রহমান লাকভির বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে এই ডিসপেন্সরি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যক্তিগত খরচেও ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি।