Friday, December 6, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমবিবিধযে সব সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম বেশি হাদীস বর্ণনা করেছেন, তারা হচ্ছেন,

যে সব সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম বেশি হাদীস বর্ণনা করেছেন, তারা হচ্ছেন,

১- আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, তাঁর বর্ণিত হাদীস সংখ্যা= ৫৩৭৪; বুখারী ও মুসলিম ৩২৬ হাদীসে একমত হয়েছেন, বুখারী এককভাবে ৯৩, মুসলিম এককভাবে ৯৮টি হাদীস বর্ণনা করেন।
২- আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা, তাঁর বর্ণিত হাদীস সংখ্যা= ২৬৩০ হাদীস। বুখারী ও মুসলিম একত্রে ১৭০ টি, বুখারী ৮১টি একক, আর মুসলিম ৩১টি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
৩- আনাস ইবন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, তাঁর বর্ণিত হাদীস সংখ্যা=২২৮৬টি। বুখারী ও মুসলিম ১৬৮টি, বুখারী এককভাবে ৮৩টি, মুসলিম, ৭১টি।
৪- আয়েশা সিদ্দীকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম, তাঁর বর্ণিত হাদীস সংখ্যা=২২১০টি হাদীস। বুখারী ও মুসলিম যৌথভাবে ১৭৪টি, বুখারী এককভাবে ৫৪টি, আর মুসলিম এককভাবে ৬৮টি
৫- আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা, তাঁর বর্ণিত হাদীস সংখ্যা=১৬৯৬টি। বুখারী ও মুসলিম একত্রে ৯৫টি। বুখারী এককভাবে ২৮টি, মুসলিম ৪৯টি।
৬- জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা, তাঁর বর্ণিত হাদীস সংখ্যা= ১৫৪০টি। বুখারী ও মুসলিম যৌথভাবে ৫৮টি। বুখারী এককভাবে ২৬টি। মুসলিম এককভাবে ১২৬টি।
৭- আবু সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, তাঁর বর্ণিত হাদীস সংখ্যা= ১১৭০টি হাদীস। বুখারী ও মুসলিম যৌথভাবে ৪৩টি। এককভাবে বুখারী ২৬টি, এককভাবে মুসলিম, ৫২টি।
আমাদের এক শাইখ (শাইখ মুহাম্মাদ আদম আব্দুল্লাহ ইথিওবী) কবিতাকারে তা সাজিয়ে বলেছেন:
الْمُكْثِرُونَ فِي رِوَايَةِ الْخَبَرْ … مِنَ الصَّحَابَةِ الأَكَارِمِ الْغُرَرْ
أَبُو هُرَيْرَةَ يَلِيهِ ابْنُ عُمَرْ … فَأنَسٌ فَزَوْجَةُ الْهَادِي الأَبَرْ
ثُمَّ ابْنُ عَبَّاسٍ يَلِيهِ جَابِرُ … وَبَعْدَهُ الْخُدْرِيُّ فَهْوَ الآخِرُ
অর্থাৎ
হাদীস বর্ণনায় যারা বেশি করেছেন, সম্মানিত সাহাবায়ে কিরাম থেকে,
আবু হুরায়রা, তারপর ইবন উমার, তারপর আনাস, তারপর হিদায়াতকারীর নেককার স্ত্রী (আয়েশা)
তারপর ইবন আব্বাস, তারপর জাবের, তারপর আবু সা‘ঈদ আল খুদরী, আর তিনিই সর্বশেষ।
তাদের থেকে হাদীস বেশি বর্ণিত হওয়ার কারণ,
১- তাদের অনেকেই হাদীস সংরক্ষণ করা ও বিতরণ করার জন্য নিজেদেরকে নিয়োজিত করেছেন।
২- তাদের মধ্যে অনেকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
৩-তাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেকদিন পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন, তাই তাদের ছাত্ররা সেটা তাদের কাছ থেকে গ্রহণ করতে সমর্থ হয়েছিলেন।
৪- তাদের মধ্যে অনেকেই বড় বড় সাহাবীগণ থেকে তা সংগ্রহ করেছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

3 × two =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য