সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: গোল্ডেন মনির সংশ্লিষ্ট রাজউক পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলামের শতকোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তার আয়ের সাথে সম্পদের সঙ্গতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অসঙ্গতি পেলেই মামলা করবে বলে জানিয়েছে দুদক।
গোল্ডেন মনির কিভাবে রাজধানীজুড়ে ২০০ প্লটের মালিক হলো তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে রাজউকের পরিচালক স্টেট শেখ শাহিনুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা পায় দুদক। পরে শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে আসতে থাকে একের পর এক অভিযোগ। রাজউকে কাজে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ নেয়া ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ওঠে সুদের ব্যবসার টাকা খাটানোর মতো গুরুতর অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সুদের টাকা ওঠানোর জন্য রাজউক অফিসে দুই ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও শাহিনুল ইসলামের বিপুল সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। রাজধানীর উত্তরায় তিন নম্বর সেক্টরে তার নামে দশ তলা একটি বাড়ির খোঁজ পায়। জানা যায়, ২০১৭ সালে অনিয়মের মাধ্যমে উত্তরা থার্ড ফেজের সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তির ৩ কাঠা জায়গার পাওয়ার অব এটর্নি নিয়ে নেন শাহিনুল। পরে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে রাজউকের ৫ কাঠার একটি প্লটের সাথে বদল করে নেন জমিটি।
এরপর জমিটি স্ত্রী খন্দকার শারমিন আক্তারে কাছে ৭৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে বলে দেখান। কিছুদিন পর সেই জমি স্ত্রীর কাছ থেকে নিজের নামে দানপত্র করে নেন। তৈরি করেন দশ তলা বাড়ি। দুদকের অনুসন্ধান বলছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করেই শাহিনুল ইসলাম জমিটি হাতিয়ে নিয়েছেন।
দশতলা বাড়িসহ ৫ কাঠা জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৩০ কোটি টাকার কম নয়। উত্তরার এই বাড়ি ছাড়াও ধামরাই এলাকায় শাহিনুলের আরো ২০ বিঘা জমির খোঁজ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ব্যাংকে শাহিনুল দম্পতির অন্তত পাঁচ কোটি টাকা জমা রয়েছে। আর নিজ এলাকা গোপালগঞ্জে রয়েছে আলিশান বাড়ি ও শত শতবিঘা জমি। এছাড়াও শাহিনুলের অন্তত ৩০ কোটি টাকা সুদের ব্যবসায় লগ্নি আছে বলে অভিযোগ এসেছে দুদকের কাছে।
সব মিলিয়ে ১শ কোটি টাকার সম্পদের উৎস খুঁজে বেড়াচ্ছে দুদক। এ বিষয়ে এখনই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি নয় সংস্থাটি।
দুদকের আইনজীবী খোরশেদ আলম জানান, অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মিললেই রাজউক পরিচালক শাহিনুল ইসলাম বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, ব্যক্তি পরিচয় নয় বরং অপরাধের দিকে লক্ষ্য করে চালাতে হবে দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রম।
অর্থ পাচারের মাধ্যমে দুবাইের আবাসন খাতে বিনিয়োগ করার অভিযোগও উঠেছে রাজউক পরিচলকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের সত্যতাও খতিয়ে দেখছে দুদক।
সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি