বৃটেনে বিরোধী দল লেবার পার্টিতে মুসলিমদের সংগঠন লেবার মুসলিম নেটওয়ার্ক। সম্প্রতি তারা এক জরিপ পরিচালনা করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দলটির ভিতরে প্রতি চারজন মুসলিমের মধ্যে একজন বলেছেন, তারা ইসলামোফোবিয়ার শিকার। উল্লেখ্য, বৃটেনে লেবার পার্টিতে মুসলিমদের আনুপাতিক হার শতকরা ২৯ ভাগ। লেবার মুসলিম নেটওয়ার্কের খবরে বলা হয়েছে, এসব মুসলিমকে হামলা ষড়যন্ত্রকারী, সন্ত্রাসী আবার কখনো বিদেশি বলে আখ্যায়িত করা হয়। মুসলিমরা ঘটায়নি এমন সহিংসতার জন্যও তাদেরকে নিন্দা শুনতে হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত দলের ৪২২ জন মুসলিম সদস্য ও নির্বাচিত প্রতিনিধির সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে জরিপ পরিচালনা করা হয়। তাতেই এসব তথ্য উঠে এসেছে। একজন মুসলিম নারী বলেছেন, বর্তমানে লেবার পার্টিতে অবশ্যই ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতি রয়েছে। অজ্ঞতা এবং প্রথাবিরোধী ধারা থেকে এসব এসেছে। এর বিদায় হবে না, অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। জরিপে অংশ নেয়া শতকরা প্রায় ৪৪ ভাগ মানুষ বলেছেন, ইসলামভীতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নেয়নি লেবার পার্টি। মুসলিম বিরোধী সেন্টিমেন্ট মোকাবিলা করার বিষয়ে দলের প্রতি আস্থা নেই শতকরা ৫৫ ভাগের। রিপোর্টের মুখবন্ধে লেবার দলীয় এমপি আফজাল খান বলেছেন, আমাদের পদস্থদের মধ্যে ইসলামভীতি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মুসলিম সম্প্রদায় দশকের পর দশক সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে লেবার পার্টিকে। কিন্তু আমরা তাদের সমর্থনের বিষয়ে কেন নিশ্চিত হতে পারি না। রিপোর্টে যারা সাড়া দিয়েছেন তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ২০০১ সালে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতি, কাশ্মীর সংক্রান্ত পরিবর্তিত নীতি, ফিলিস্তিন দখলের মতো ইস্যুতে। উল্লেখ্য, বামপন্থি লেবার পার্টি ঐতিহ্যগতভাবে নিজেদেরকে বর্ণবাদবিরোধী বলে পরিচয় দেয়। ২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিমদের শতকরা ৮৫ ভাগই সমর্থন করেছিলেন লেবার পার্টিকে। আর শতকরা মাত্র ১২ ভাগ সমর্থন করেছিলেন বর্তমান ক্ষমতাসীন ডানপস্থি রক্ষণশীল কনজারভেটিভ পার্টিকে। সম্প্রতি লেবার পার্টিকে ইহুদিবিরোধী বলে অভিযোগ করা হয়। এ সময়ে লেবার দলের সাবেক নেতা জেরেমি করবিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন দলের বর্তমান নেতা স্যার কেইর স্টরমার।