সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে আর্থিক মদতের দায়ে লস্কর-ই-তৈইবা প্রধান হাফিজ সাইদকে সাড়ে ১৫ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিল পাকিস্তানের একটি আদালত। এবছর এই ধরনের যে চারটি মামলায় হাফিজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তার মধ্যে এটাতেই সবথেকে বেশি সাজা ঘোষণা করা হল।
কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা আদালত কক্ষের মধ্যে সমস্ত অভিযুক্তের উপস্থিতিতে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। ভিতরে সংবাদমাধ্যমেরও প্রবেশাধিকার ছিল না। লাহোর আদালতের এক আধিকারিক জানান, লাহোরের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত লস্কর-ই-তৈইবা ওরফে জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সাইদসহ পাঁচ নেতাকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাদের প্রত্যেককে সাড়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক।
হাফিজ ছাড়া বাকিরা হলেন জামাত-উদ–দাওয়ার মুখপাত্র ইয়ায়া মুজাহিদ, জাফর ইকবাল, হাফিজ আবদুস সালাম ও মোহম্মদ আসরাফ। এছাড়া এই মামলার আরেক আসামি হাফিজ সাইদের শ্যালক আবদুল রহমান মাক্কিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। জরিমানা করা হয়েছে ২ লাখ টাকাও।
গত নভেম্বর মাসেও সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতের দু’টি ভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল হাফিজ সাইদ। এর জন্য তাকে ৫ বছর করে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ৭০ বছরের হাফিজকে বিশ্বের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য জেলের সাজা দেওয়া হলেও লাহোরের লাখপত জেলের বদলে নিজের বাড়িতেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ