বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বন্দরের গণশৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের উপর ১০ বছর ধরে বসবাস করছে প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র এক পরিবার। মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের বর্তমান তালিকায় নাম ওঠেনি এ পরিবারের। এক খন্ড জমি ও একটি ঘরের বরাদ্দের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন এই পরিবারটি। হতদরিদ্র এ পরিবারের গৃহকর্তার নাম মো: সুমন। সে মানসিক প্রতিবন্ধী একই সাথে পঙ্গু।
সুমনের স্ত্রী সাথী বেগম ইত্তেফাককে জানান ‘১০ বছর যাবত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বন্দরের গণশৌচাগারের সেপটিক ট্যাকেংর উপর বসবাস করছি। দারিদ্রতার কারণে মাথা গোজার ঠাঁই করতে পারেননি। এ কারনেই এ ট্যাংকের উপর আশ্রয় নিয়েছি । আমি সুইপারের কাজ করে ও মানুষের দান কোনো ভাবে ৫ সন্তান নিয়ে দিন কাটায়।’
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পূর্ণবাসনে গৃহনির্মাণ কার্যক্রমের খবরে আশা দেখছিলেন সাথী বেগম। একটি ঘর পাবেন এই আশা থাকলেও সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তালিকায় নাম নেই সুমন-সাথী পরিবারের। নেই তাদের কারো জাতীয় পরিচয়পত্র।
ঐ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আব্দুর রহিম জানান, ‘সচেতনতা না থাকায় সুমন-সাথী পরিবারের জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়নি। কোনো মানুষের দয়া আর সাহায্যে কোনো ভাবে দু মুঠো খেয়ে জীবন বাঁচে তাদের।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সুমন-সাথী পরিবারের খবর পেয়ে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঐ পরিবারের সাথে দেখা করি। তারা যাতে সহযোগিতা পান এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বাবুগঞ্জ উপজেলায় মোট ১৭০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পূর্ণবাসন করা হবে। এরমধ্যে ১১০টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখনো ৬০টি ঘরের নির্মাণ কাজ বাকি রয়েছে। বরিশাল জেলায় বরাদ্দকৃত ঘরের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫৬টি। এরমধ্যে ১ হাজার ৯টি ঘরের নির্মাণ ও বরাদ্দ শেষ হয়েছে।
ইত্তেফাক/এনএ