মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে জুমার খুতবায় আলোচনা করতে ইমামদের নির্দেশনা দেয় সৌদির ধর্ম মন্ত্রণালয়। গত ১৩ নভেম্বর এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
তবে এমন নির্দেশনা থাকলেও অনেক মসজিদে তা পালন করা হয়নি। এই কারণে এবার দেশটির ১০০ ইমাম ও ধর্ম প্রচারককে বরখাস্ত করেছে সৌদির ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মক্কা ও আল-কাসিম এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে সৌদি গ্যাজেট জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহ পর্যালোচনার পর নির্দেশ অমান্যকারীদের তালিকা করে তাদের বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন সৌদির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শেখ আবদুল লাতিফ আল শায়খ।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও সরকারের রোষাণলে পড়ার ভয়ে সবাই চুপ করে আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে ঘোষণা করে দেশটিতে তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব।
সম্প্রতি দেশটিতে মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রচারণা শুরু হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটির কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা এবং রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমেও সংগঠনটির বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
গত মাসে সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-শেখ ব্রাদারহুডকে একটি ‘বিচ্যুত গ্রুপ’ বলে আখ্যা দেন এবং সংগঠনটির সঙ্গে ‘ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই’ বলেও উল্লেখ করেন।
এর পরপরই সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা মজলিস হায়াত কিবার আল-উলামা এ বিষয়ে এক বিবৃতি দেয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা ইসলামের নামে ভুল শিক্ষা দিচ্ছে। সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। তাই দেশের প্রত্যেক ইমাম ও ইসলামিক ধর্মপ্রচারককে তাদের বিরুদ্ধে প্রচার করতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের উদ্দেশ্যের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। ওই সংগঠন নিজেদের স্বার্থে কীভাবে ধর্মকে ব্যবহার করতে চাইছে তার স্বরূপ তুলে ধরতে হবে। তারা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা মানুষের কাছে পৌঁছনোর পরিবর্তে নিজেদের দলীয় স্বার্থ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলেও জানাতে হবে মানুষকে।
আমারসংবাদ/জেডআই