ভারতের তেলেঙ্গানায় নির্বাচনের আগে মেরুকরণের রাজনীতিতে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। গতকাল হয়দরাবাদ সফরে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ক্ষমতায় এলে হয়দরাবাদের নাম হবে ভাগ্যনগর।
সোমবার এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওআইসি। তিনি বলেন, ‘শহরে নাম বদলের ষড়যন্ত্র আসলে ঘৃণার রাজনীতি।’
এর আগে ২০২০ সালে পৌরসভার ভোটপ্রচারে হয়দরাবাদে গিয়েছিলেন আদিত্যনাথ। সেই সময়েও হয়দরাবাদকে ভাগ্যনগরে পরিণত করতে মানুষকে বিজেপিকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এবারো একই কথা বলেন তিনি।
তার কথার জবাবে ওআইসি আরো বলেন, ‘প্রথমত, তাদের প্রশ্ন করুন, ভাগ্যনগর কোথা থেকে এলো? কোথায় লেখা আছে। তোমরা হয়দরাবাদকে ঘৃণা করো, তাই নাম বদলের রাজনীতি করতে চাও। হয়দরাবাদ আমাদের আত্মপরিচয়। নাম বদলের প্রশ্ন উঠছে কেন? ওরা আসলে ঘৃণার রাজনীতি করছে।’
এ ধরনের বক্তব্য যে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি, তাও মনে করিয়ে দেন এআইএমআইএম নেতা। তিনি আরো বলেন, ‘হয়দরাবাদ তথা তেলেঙ্গনার মানুষ মুখের ওপর জবাব দেবে।’
প্রসঙ্গত, আরএসএস এবং বিজেপির বিভিন্ন সারির নেতারা হয়দরাবাদের নাম বদলে ভাগ্যনগর করার দাবি তুলছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। ২০২০ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পৌরভোটের আগে হয়দরাবাদ সফরে গিয়েছিলেন। তিনি ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরে যান। বিজেপি নেতাদের মতে, ভাগ্যলক্ষ্মী নামকরণ হয়েছে ভাগ্যনগর থেকে। এমনো বলা হয় যে, হয়দরাবাদের আসল নাম ভাগ্যনগর।
চারমিনারের দক্ষিণ-পূর্বের মিনার লাগোয়া এই ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরটি। আকারে ছোট। কিন্তু বিতর্কে বড়। বাঁশের খুঁটি এবং ত্রিপল, টিনের ছাদ মন্দিরের। মন্দিরের বয়স কত, সেই প্রশ্নের স্পষ্ট কোনো জবাব নেই। কারণ, এর নির্দিষ্ট কোনো ইতিহাস নেই। তবে অন্তত ১৯৬০ সাল থেকে এটি রয়েছে এখানে। এখন যে বিগ্রহ, সেটি সেই সময়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে বলছেন অনেকে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন