Sunday, November 10, 2024
No menu items!

আমাদের মুসলিমউম্মাহ ডট নিউজে পরিবেশিত সংবাদ মূলত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সমাহার। পরিবেশিত সংবাদের সত্যায়ন এই স্বল্প সময়ে পরিসরে সম্ভব নয় বিধায় আমরা সৌজন্যতার সাথে আহরিত সংবাদ সহ পত্রিকার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। পরবর্তীতে যদি উক্ত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন সংশোধন আমরা পাই তবে সত্যতার নিরিখে সংশোধনটা প্রকাশ করবো। সম্পাদক

হোমদৈনন্দিন খবর১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাইরে, কারাগারে আরেকজন!

১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাইরে, কারাগারে আরেকজন!

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: নাম, বাবার নাম, ঠিকানা, বয়স বা চেহারা সবকিছুতেই অমিল। তারপরেও গত পাঁচ বছর ধরে মাদক মামলায় জেল খাটছেন পল্লবীর আরমান বিহারী। পরিবারের অভিযোগ, মাদক মামলায় দশ বছরের দণ্ডিত শাহাবুদ্দিন নামে এক আসামির জায়গায় আরমানকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আসল আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারগার। কয়েদি নম্বর ৩৮৪৮।  য়েদীর নাম মোঃ শাহবুদ্দিন ওরফে আরমান। পল্লবী থানার মাদক মামলায় ১০ বছরের দণ্ডিত তিনি। কিন্তু, বাস্তবতা ভিন্ন। কয়েদি নম্বর ও নামে যিনি আছেন তিনি শাহবুদ্দিন নন, তিনি পল্লবীর আরমান বিহারী।

তার পরিবার বলছে ৫ বছর ধরে শাহবুদ্দিনের জায়গায় কারাভোগ করছেন আরমান। ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি আরমানকে শাহাবুদ্দিন ওরফে আরমান দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পল্লবী থানা পুলিশ।

আরমানের দুলাভাই মো: নাদিম হোসেন বলেন, ‘শাহাবুদ্দিন গত ১০ বছর ধরে পলাতক রয়েছেন। তার জায়গায় আরমানকে শাহাবুদ্দিন সাজিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। অথচ আরমানের সঙ্গে মূল আসামির কোনো কিছুতেই মিল নেই।’

ছেলের মুক্তি চেয়ে আরমানের মা বানু খাতুন বলেন, ‘অনেক খোঁজাখুজির পর থানায় গেলে পুলিশ দুর্ব্যবহার করে জানায় ১০ বছরের সাজা হয়েছে।’ পরিবার বলছে, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাদক ব্যসায়ী শাহবুদ্দিনকে বাঁচাতেই একাজ করেছে পুলিশ।

আরমানের দুলাভাই মোঃ নাদিম হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়েছি মূল আসামি শাহাবুদ্দিন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।’

মামলার নথি অনুযায়ী আসামির নাম মোঃ শাহাবুদ্দিন। পরে অভিযোগপত্রে মোঃ শাহাবুদ্দিন নামের পাশে জুড়ে দেয়া হয় আরমান। পেশায় বেনারশি শ্রমিক আরমানের পরিবার যায় আদালতে। যা এখন রায়ের অপেক্ষায় আছে।

ভুক্তভোগী আরমানের আইনজীবী মো: হুমায়ুন কবীর পল্লব জানান, অভিযোগপত্রে নামের শেষে ওরফে লাগিয়ে সম্পর্ক তৈরি করা হয়েছে। মূলত অর্থের জন্যই পরিকল্পনা করেই একাজ করা হয়েছে। বেআইনিভাবে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে বলেও জানান আরমানের আইনজীবী।

আদালতের নির্দেশের পর আরমানকে শাহবুদ্দিন দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় নিজেদের গাফিলতির প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি।

ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন জানান, মূল আসামি শাহাবুদ্দিনকে আটক না করে নিরাপরাধ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিলো তার প্রমাণ মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

আরমানের মুক্তির পাশাপাশি দায়ী পুলিশ সদস্যদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি আরমানের স্বজনদের।

ডিএস/এএইচ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

two × 2 =

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য