অনৈতিক ও অশ্লীল কনটেন্ট প্রচারের অভিযোগের জের ধরে টিকটককে সতর্ক করা হয়। এরপরও টিকটক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় চীনা অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।- পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ বলেছে।
পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষে (পিটিএ) একটি বিবৃতিতে বলেছে, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির পক্ষ থেকে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটির বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অশ্লীল বিষয়বস্তু থাকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিটি থেকে জানা যায় যে, ”টিকটকে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করা বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে অভিযোগ এবং সেগুলোর প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে, পিটিএ তাদেরকে চূড়ান্ত নোটিশ জারি করেছে”।
”টিকটক অনলাইন কনটেন্টের ওপর নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাই টিকটককে ব্লক করা হয়েছে।”- বিবৃতি থেকে প্রাপ্ত।
পিটিএ আরও জানিয়েছে, টিকটক বেআইনি বিষয়বস্তু যাচাইয়ের মেকানিজম সন্তোষজনক করতে পারলে এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করা হবে।
গত জুলাই মাসে, পিটিএ কর্মকর্তারা স্বল্প- ধারণকৃত ভিডিও অ্যাপ্লিকেশনটিকে কনটেন্ট সম্পর্কিত একটি “চূড়ান্ত সতর্কতা” জারি করেছিল।
চীনের বাইটড্যান্স তৈরি করেছে টিকটক নামের অ্যাপটি। এটি সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার উদ্বেগের কারণে বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে । ইতিমধ্যে ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলির তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে এটি।
টিকটক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য প্রকাশ করেনি।
একজন সরকারী কর্মকর্তা রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইস্যুটিতে মনোনিবেশ করার ঠিক পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিনি পিটিএকে ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অ্যাপসগুলোকে অশ্লীলতামুক্ত করতে বলেছিলেন।
এর আগে অনৈতিকতার প্রশ্ন ওঠায় লাইভ স্ট্রিমিং অ্যাপ ‘বিগো’ নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান। এবং ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবকে “অশ্লীলতা এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য” ব্লক করার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারও সাম্প্রতিক মাসগুলিতে নিষিদ্ধ করেছিল।
২০১৬ সালে ইন্টারনেটে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য পাকিস্তানের সংসদ পাকিস্তান বিদ্যুৎ বাহিত অপরাধ আইন (পিইসিএ) পাস করেছিল।
এটি পিটিএকে “ইসলামের গৌরব বা বিশুদ্ধতা, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বা সুরক্ষা, … সার্বজনীন শৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতা” ইত্যাদি বিরোধী কনটেন্টগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিস্তৃত ক্ষমতা দিয়েছে।
অধিকার আদায়ের গোষ্ঠীরা বলেন, পিটিএ ্০০,০০০ এরও বেশি ওয়েবসাইট এবং প্ল্যাটফর্মকে দেশের অভ্যন্তরে অবস্থান করে প্রবেশের অনুমোদন নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল ।
নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটগুলির তালিকায় অশ্লীল প্ল্যাটফর্মগুলির সাথে দেশের সুরক্ষা এবং বিদেশী নীতির সমালোচনা হিসাবে বিবেচিত নিউজলেটগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া কিছু সামাজিক মাধ্যম এবং রাজনৈতিক দলের ওয়েবসাইটও অন্তর্ভুক্ত। ’